দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা বিমান বন্দরে চীনের উহান শহর থেকে ফিরে আসা এক যাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে প্রচন্ড চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। এখনও সঠিক ভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। পুলিশ ওই মৃত মহিলার দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই মৃত মহিলার নাম স্মৃতা প্রধান রাই। ওই মহিলার বয়স ৪৫বছর। বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে জানা গিয়েছে যে , দিল্লি-বাগডোগরা বিমানের চিনের উহান ফেরত (Wuhan Passenger) যাত্রী স্মৃতা প্রধান রাইয়ের বাড়ি দার্জিলিং জেলার মিরিক ব্লকের পাহাড়ি গ্রাম শিয়োকে। এদিন ওই মহিলাকে বিমান সংস্থার কর্মীরা বেলা ১টা নাগাদ বাগডোগরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফেনার মত বেরচ্ছিল তাঁর মুখ দিয়ে বলেও জানা গিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে বিমানকর্মীরা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। আশঙ্কা কয়েকগুণ বেশি জাঁকিয়ে বসেছে সকলের মনে মহিলা চিন ফেরত হওয়ায়।
ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বিমানের মধ্যে না বিমান থেকে নামার পর , তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই মহিলার ব্যাপারে বাগডোগরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই মহিলাকে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিকে,স্মৃতাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েই চলে যান বিমান সংস্থার কর্মীরা বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরা কিছু-ই বলতে চাননি এবিষয়ে। ফলে বিমানের মধ্যে না বিমান থেকে নামার পর মৃত্যু হয় স্মৃতা প্রধান রাই নামে ওই মহিলার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, মহিলার দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মহিলার মৃত্যুর কারণ রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বামী বিশাল রাই স্ত্রীর মৃত্যর ঘটনায়। স্বামী বিশাল রাই বলেন, ” চিনের উহানে স্মৃতা কাজ করত। বুধবার সকালে আমাকে ফোনে জানায় দিল্লিতে এসে, বাগডোগরায় নামবে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ। আমি বিমানবন্দরে (Bagdogra Airport) এসে সেইমত খোঁজ করছিলাম। বিমানবন্দরের তরফে বেলা ১টা নাগাদ আমাকে জানানো হয়, স্মৃতাকে বাগডোগরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি, স্ত্রী মারা গিয়েছে। বুঝতে পারছি না কীভাবে এমন হল।”