বিহারের ছাপড়ায় এক মহিলার অদ্ভুত দাবির ঘটনা সামনে এসেছে। মহিলার দাবি, পাঁচ বছর আগে সাপের কামড়ে তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছিল, তিনি এখন সেই শিশুটিকেই নাকি জীবিত দেখতে পেয়েছেন। স্বভাবতই এইরকম দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহিলাটি তার সন্তানকে চিনতে পেরেছে এবং তার কাছে নিয়ে এসেছে। ঘটনাটি সরিয়া থানার ফেনহারা গ্রামের। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ওই গ্রামের হরিন্দ্র মাহাতোর পাঁচ বছরের ছেলে কৃষ্ণ কুমারকে একটি বিষধর সাপে কামড়েছিল। এরপর তাকে মৃত ভেবে একটি কলাগাছের কান্ডের তৈরী ভেলা তৈরী করে নাম ঠিকানা লিখে গন্ডক নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষ্ণ কুমারের মা সুনিতা দেবীর দাবি, এখন সেই এতদিন শিশু বেঁচে থাকার পর বাড়ি ফিরেছে। তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে তার ছেলে একটি গাছের কাছে খেলা করছিল। সেখানে তাঁকে সাপে কামড়েছিলেন। ছেলে মৃত ভেবে একটি কলাগাছের কান্ডের তৈরী ভেলা তৈরী করে তার উপর তাকে শুইয়ে দিয়ে গন্ডক নদীতে জলে ভাসিয়ে নদীতে প্রবাহিত করা হয়। পরে কেউ তাকে জানায় শিশুটি বেঁচে আছে, তখন থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছে। মঙ্গলবার ইসুয়াপুরের বিশুনপুরা থেকে খবর আসে যে শিশুটি নাকি সেখানে রয়েছে, তাই সুনিতা দেবী সেখানে গিয়ে শিশুটিকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
শিশুটির শরীরে উপস্থিত চিহ্ন এবং নাকের পাশের আঁচিল থেকে সুনিতা দেবী দাবি করছেন যে বাচ্চাটি তারই, যাকে মৃত বলে ধারণা করে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিশুটি তার নাম স্পষ্টভাবে বলতে পারছে না, যার কারণে ধারণা করা হচ্ছে সে প্রতিবন্ধী। এদিকে মৃত শিশুটির এইভাবে জীবিত হয়ে ফিরে আসার ঘটনা দেখতে গ্রামবাসীরা ভিড় করছে। এ ঘটনাকে তারা অলৌকিক বলছেন।