দিল্লির আলিপুর এলাকায় স্ত্রী মোবাইলে অশ্লীল ছবি দেখতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর সঙ্গে ভয়ানক দুর্ব্যবহার করলেন স্বামী। শুধু দুর্ব্যবহার করলেন যে তাই নয়, স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত পর্যন্ত করেছেন ওই ব্যক্তি। এই কাজের পর সে পালিয়ে যায়। মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার দেওর ও দেওরের স্ত্রী। হাসপাতাল থেকে জখম এক মহিলা ভর্তির খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। ওই মহিলার বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ওই নারীর পলাতক স্বামীকে এখন এই জঘন্য কাজের জন্য খুঁজছে পুলিশ।
শনিবার রাতে বাবু জগজীবন রাম হাসপাতাল থেকে এক মহিলাকে আহত অবস্থায় ভর্তি করার খবর পায় পুলিশ। হাসপাতালে পৌঁছে পুলিশ জানতে পারে আহত মহিলা আলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার বয়স ৪৯ বছর। ওই নারী জানান, ১৯৯৩ সালে তার বিয়ে হয়েছিল।
মহিলা তার বয়ানে জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই তার বিবাহিত জীবনে শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন তিনি। বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্ত করত স্বামী। কিন্তু তিনি কখনোই তার পরিবার ও পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। বলা যায় একরকম মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে গিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলা আরো জানান কোন সন্তান না হওয়ায় তিনি একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন। কিন্তু সেই দত্তক নেওয়া মেয়েকেও মারধর করত স্বামী। স্বামীর এই আচরণের কারণে মাত্র ২০ বছর বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। স্বামীর কর্মকাণ্ড দেখে তাকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এরপরে গত শনিবার রাত ১১টার দিকে স্বামী বাড়িতে ফোনে অশ্লীল ছবি দেখতে শুরু করে এবং তাকেও ছবিটি দেখানোর চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বচসা বাঁধে, এবং বিষয়টা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। স্বামী তার চুল টেনে মারধর করে এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
এরপর অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তার চিৎকার, চেঁচামেচি আর কান্নার আওয়াজে মহিলার দেওর ও দেওরের স্ত্রী ঘরে আসে। দুজনকে আসতে দেখে তার স্বামী পালিয়ে যায়। শেষমেষ তারাই তাকে বাবু জগজীবন রাম হাসপাতালে ভর্তি করেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।