থাইল্যান্ডে (Thiland) একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। স্বামী-স্ত্রী কেন আরেক মহিলা কে সাথে নিয়ে গ্রুপ সেক্সে অংশগ্রহণ করছে না তাই নিয়ে ক্ষিপ্ত সেই মহিলা। এই কারণে এতটাই সে রেগে গেছে যে সামুরাই তলোয়ার নিয়ে হামলা পর্যন্ত চালিয়ে বসেছে ঐ স্বামী-স্ত্রীর বাড়িতে। বিষয়টা ঠিক কি? জানুন বিস্তারিত!
আসলে স্বামী-স্ত্রী এবং এক মহিলার মধ্যে বেশ কিছু সময় ধরে একটি সম্পর্কে ছিলেন। অর্থাৎ এই স্বামী স্ত্রী স্ব-ইচ্ছা তেই আরেক মহিলা কে নিজেদের সম্পর্কে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং সেই মহিলাকে নিজেদের যৌন সঙ্গীও বানিয়েছিলেন। এই ধরনের সম্পর্ককে বহুগামী সম্পর্ক বা polygyny বলেন সমাজবিজ্ঞানীগণ। এইভাবেই ওই তিনজনই একসঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু একদিন স্বামী-স্ত্রী ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার কথা জানিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই নারী। মহিলা একটি সামুরাই তলোয়ার নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় হামলার উদ্দেশে। পুরো ঘটনাটি বাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এবং রেকর্ড হয়ে গেছে। মহিলাকে তলোয়ার দিয়ে ওই দম্পতিকে আঘাত করার চেষ্টাও করতে দেখা যায়।
জানা গেছে ঘটনাটি থাইল্যান্ডের। যেখানে ৪০ বছর বয়সী এক নারী আউম, এক ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তি এয়ার এবং তার ৩৮ বছর বয়সী স্ত্রী নোটের সঙ্গে একটি ত্রিমুখী সম্পর্কে ছিল। কিন্তু গত বছর আউম তার এক বয়ফ্রেন্ডকেও এই সম্পর্কে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই স্বামী-স্ত্রী এতে রাজি হয়না। দম্পতি বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে এবং অউমও তাদের সম্পর্ক থেকে আলাদা হয়ে যায়।
‘ডেইলি মেইল’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী (এয়ার অ্যান্ড নোট) দাবি করেছেন, ৪০ বছর বয়সী আউম তাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছিলেন। আউম তাদের জানায় যে সে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছে এখন সে ফের ওই দম্পতির সাথে সম্পর্কে আসতে চায় এবং একত্রে সেক্সেও (Threesome Sex) অংশগ্রহণ করতে চায়। কিন্তু দম্পতি এটি করতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত সপ্তাহে আউম তাদের দরজায় তলোয়ার নিয়ে হামলা চালায়, যার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাগের মাথায় বড় তরবারি নিয়ে বারবার হামলার চেষ্টা করছেন তিনি। যাইহোক, সৌভাগ্যবশত, দম্পতি দরজার আড়ালে লুকিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন এবং একটি বড় বিপর্যয় এড়িয়ে যাওয়া গেছে।