বিয়ের জন্য পাত্রী ৮০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। পাত্রের বাবা শুধু সেই শর্তে রাজিই হননি, উপরি হিসেবে হবু বউমাকে দামি অলঙ্কার এবং শাড়ির উপঢৌকনও পাঠিয়েছিলেন। ছেলের ‘মহার্ঘ্য’ পাত্রীকে অবশ্য তাতেও আটকে রাখা যায়নি। টাকা এবং উপহার নিয়ে বিয়ের কিছু ক্ষণের মধ্যেই বরকে ফেলে পালিয়ে যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীতে।
পাত্রের নাম রাজু। তাঁর বাবার নাম রাজেন্দ্র। পুলিশকে রাজেন্দ্র জানিয়েছেন, পাত্রীর ঘটকই বিয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকার শর্ত দিয়েছিলেন তাঁকে। যেহেতু বিয়ে করে বউমা বাড়িতেই আসবেন, তাই রাজেন্দ্রও টাকাটি দিতে রাজি হয়ে যান। টাকা হাতে পাওয়ার পরই বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিলেন পাত্রী। তবে তার পরও হবু বউমার উদ্দেশ্য নিয়ে মনে দ্বিধা জাগেনি রাজেন্দ্রর।
গত ১৭ অগস্ট মইনপুরের পারাউঙ্খা গ্রামের শীতলাধাম মন্দিরে বিয়ে করেন রাজু এবং ওই মহিলা। পরে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে এলে রাজুকে জল এনে দিতে বলেন তাঁর স্ত্রী। রাজু জল নিয়ে ফিরে এলে আর স্ত্রী-কে দেখতে পাননি।
রাজু জানিয়েছেন, মন্দিরে একান্তে বিয়ে করার শর্তও তাঁর স্ত্রীই দিয়েছিলেন। সেই মতো আত্মীয় স্বজনকে বাদ দিয়েই মন্দিরে বিয়ে করেন দু’জনে। এই সব শর্ত দিয়ে যে আদতে প্রতারণারই জাল বুনছিলেন ওই মহিলা, তা বুঝতে পারেননি রাজু বা তাঁর বাবা রাজেন্দ্র। বুঝে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট করেন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার খোঁজ পায়নি পুলিশ।