স্বামীর সাথে থাকছিলেন না গত দুই বছর। লিভ- ইনে বাস করছিলেন প্রেমিকের সাথে। কিন্তু সেই প্রেমিকের উপর মোহভঙ্গ হতেই মারাত্মক ষড়যন্ত্র -এর ছক কষলেন মহিলা। চাঞ্চল্যকর ভাবে এই ষড়যন্ত্র -এ মদত দিতে হাত মেলালেন নিজের স্বামীর সাথেই যে স্বামীকে ছেড়ে নাকি প্রেমিকের সাথে থাকছিলেন তিনি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লি সংলগ্ন ইউপির নয়ডায় লিভ-ইন রিলেশনশিপে বসবাসকারী এক মহিলা তার স্বামীর সাথে মিলে তার প্রেমিককে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ যখন এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের কথা প্রকাশ করে, তখন মানুষ হতবাক হয়ে যায় যে স্বামীর সাথে মিলে বর্তমান প্রেমিক কে হত্যা করেছেন এও কি সম্ভব! ঘটনাটি নয়ডার বদলপুর এলাকার।
জানা গেছে প্রেমিককে নিজের পথ থেকে সরিয়ে দিতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে নারী। এ ঘটনায় ওই নারী ও তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আসামিদের নির্দেশে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি ও নিহতের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ বদলপুর এলাকায় নীরজ নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এরপর খুনের ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত দুই বছর ধরে শ্রাবণ নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকছিলেন নীরজ। দুজনের ভেতর প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও তা এই দুই বছরে আস্তে আস্তে তিক্ত হয়ে উঠছিল।
নীরজ মদ্যপানে আসক্ত ছিল, যার কারণে মহিলার সাথে তার প্রায়ই ঝগড়া হত। এই অশান্তির জের এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সে তার ফের তার স্বামীকে যোগাযোগ করে নীরজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। স্বামীও সঙ্গত দেয় স্ত্রীর তার বয়ফ্রেন্ড কে হত্যা করার ঘটনায়। এরপর ১১ মার্চ দুজনে মিলে নীরজকে মদ্য পান করায়। মদ্যপ নীরজের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহ লোপাটের জন্য বদলপুর এলাকায় লাশ ফেলে দিয়ে আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত মহিলা ও তার স্বামী শ্রাবণ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনই বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।