বিহার রাজ্য থেকে সামনে এসেছে এক অদ্ভুত প্রেমের গল্প। পশ্চিম চম্পারণ জেলায়, এক বিধবা বোন তার ছোট ভাইয়ের প্রেমে পড়েছিল। সেই ভাই ওই বিধবা মহিলার সম্পর্কে কাকার ছেলে। কিন্তু দুজনের ভালোবাসার রঙ এতটাই গভীর যে তারা আলাদা থাকতে কিছুতেই রাজি হননি। দুজনেই একসঙ্গে সারাজীবন বাঁচা-মরার শপথ নেয়। কিন্তু এদিকে পরিবার ও সমাজ তাদের দুজনের ভালোবাসা মেনে নেয়নি। উভয়কে শাস্তি দেওয়ার অভিপ্রায়ে পরিবার পঞ্চায়েতও ডেকেছিল, যার কারণে এই যুগল থানায় পৌঁছে পুলিশের কাছে তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং আত্মীয় ও অন্যদের হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানায়।
এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে স্থানীয় লোকজনের কবল থেকে মুক্ত হতে পারে প্রেমিক যুগল। পুলিশ কর্মকর্তারা এই বিষয়ে বলেন যে বিয়ে করা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় এবং এতে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এই কথা মানতে নারাজ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন। তারা সম্মান ও মর্যাদার যুক্তি দিয়ে এই সম্পর্ককে ভুল বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভাই এবং বোনের মধ্যে প্রেমের এই ঘটনাটি বেত্তিয়ার বানুছাপার এলাকার অন্তর্গত। জানা গিয়েছে ওই মহিলার স্বামী প্রায় ১ বছর আগে মারা গিয়েছিল। এর পরে, তার নিজের খুড়তুতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়েন ওই মহিলা। প্রসঙ্গত তার খুড়তুতো ভাই তার থেকে চার বছরের ছোট ছিলেন। দুজনের মধ্যে প্রণয় এতটাই বেড়ে যায় যে তারা একসাথে বাঁচার এবং যদি মরতেই হয় তাহলে একসাথে মারা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা এই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে, দুজনেই বিয়ে করে তাদের পুরো জীবন একসাথে কাটাতে চেয়েছিলেন। স্বজনরা জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তারা উভয়কে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা কথা শোনেনি। এর পর দুজনকেই শাস্তি দেওয়ার অভিপ্রায়ে পঞ্চায়েত ডাকে পরিবার। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত হয় যে উভয়ের চুল কামিয়ে নেড়া করে গ্রামে ঘুরিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। লাঞ্ছনার হাত থেকে বাঁচতে সময় মতো স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন প্রেমিক যুগল। এরপরই পুলিশের হস্তক্ষেপে বাধা পায় স্বজন ও পড়শীরা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।