রোজকার স্নানে কাজে লাগে সাবান। শরীরকে ময়লা- ও জীবাণু-মুক্ত করতে আমরা স্নানের সময় সাবান ব্যবহার করি। বাজারে নানান গন্ধের, নানান দামের, নানান ধরণের সাবান পাওয়া যায়। বহু বহুজাতিক সংস্থার নানা স্পেশাল ধরনের সাবান বানায়। সাধারণ ২০ টাকা, ৪০ টাকা এমনকি ২০০- ৫০০ টাকা দামের সাবান ও পাওয়া যায় কিনতে। কিন্তু আপনার কি ধারণা আছে সর্বাধিক কত হতে পারে একটা সাবানের দাম। ভাবতে পারেন কী একটি সাবান কিনতে খরচ করতে হয় ২ লাখ টাকার বেশি?
শুনে বিশ্বাস না হলেও সত্যি সত্যিই বহুমূল্য এই সাবান তৈরী হয় লেবাননের ত্রিপোলিতে। লেবাননের একটি পরিবার এই দু’লাখ টাকার সাবান তৈরি করে। সাবানের নাম খান আল সাবুন। বিলাসবহুল সাবান হিসাবে পরিচিত এটি। সাবান ছাড়াও ত্বকের নানা প্রসাধনী দ্রব্য এবং সুগন্ধিও বানায় লেবানন নিবাসী বাদার হাসেনের পরিবার। প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৩-তে প্রথম বানানো হয় বহুমূল্য এই খান আল সাবুন।
কেন এত দাম?
সাবান বানায় যে হাসানের পরিবার তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁদের নির্মীত এই বিলাবহুল সাবানে ২৪ ক্যারাটের ১৭ গ্রাম সোনার গুঁড়ো মেশানো হয়। এছাড়াও থাকে তিন গ্রাম হিরের গুঁড়ো, অর্গানিক খাঁটি মধু, খেজুর ইত্যাদি থাকে। একটি সাবান তৈরি সময় লাগে প্রায় ৬ মাস। অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারেই বানাতে হয় এই দুলাখি সাবান। অবশ্য বিশ্বে শুধুমাত্র এই সাবান সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি বিশেষ দোকানেই পাওয়া যায়।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী তে দামি জিনিস কেনা বেচা হামেশাই হয়ে থাকে। প্রায় ২৩ ক্যারেট ভোজ্য সোনা দিয়ে বানানো বিরিয়ানি পাওয়া যায় সেই দেশে ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম ২০ হাজার টাকা। এমন কি সেই দেশেই আছে গোল্ড ATM। যেখানে ATM কার্ড ঢোকালে সোনা পাওয়া যায়। তাই এমন বিলাসবহুল আর আভিজাত্য পূর্ন দেশে যে সোনা হীরার গুঁড়ো মেশানো ২ লাখ টাকার সাবান পাওয়া যাবে এ আর বেশি কথা কি?