Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ভারতীয় টাকার দু’প্রান্তে তেরছা দাগ থাকে কেন? জেনে নিন এর পেছনের রহস্য

পৃথিবীর যে দেশই হোক না কেন, সেই দেশের নিজস্ব টাকার নোট বা কয়েনের মধ্যে থাকে নানা নিরাপত্তামূলক বৈশিষ্ট্য। ভারতের টাকার নোটেও তেমন কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আছে যেগুলি আমাদের সকলের চোখের সামনে থাকলেও আমরা সেভাবে খেয়াল করে দেখিনি। অথবা কেন উপস্থিত আছে তাও জানিনা।

ভারতীয় টাকায় তেমনই একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। সেটি হলো নোটের দু’প্রান্তে থাকা কয়েকটি তেরছা মার্কস। ভারতীয় একশ (১০০), দুশ (২০০), পাঁচশ (৫০০) এবং দুহাজার (২০০০) টাকার নোটের দু’প্রান্তে এই দাগ দেখতে পাওয়া যায়। টাকার মূল্য কি সেই অনুযায়ী এই দাগের সংখ্যা হয়। কিন্তু এই দাগ

তেরছা এই দাগ কেন থাকে টাকায়?

এই দাগের নাম কী কিছু আছে? এর বিষয়ে জানতে গেলে আমাদের একটা বিষয়ে একটু চিন্তা করতে হবে।

কখনো ভেবে দেখেছেন কি , আমাদের চোখের দৃষ্টি আছে বলে দেখতে পারি। সবকিছু পড়তে পারি। কিন্তু যারা দুই চোখে দেখতে পায় না, তারা কীভাবে টাকা চেনে? কোনো অন্ধ ব্যাক্তিকে টাকা দিলে দেখা যায় তাঁরা হাত ঘঁষে নোট ধরে ফেলছেন, যে তাদের কত টাকার নোট দেওয়া হয়েছে। এর রহস্য কী? বিষয়টি অনেকেরই অজানা। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক। অন্ধরা যাতে টাকা চিনতে পারেন সেই উপায় হিসেবে প্রতিটি নোটে blind embosing করা হয়ে থাকে। যাতে স্পর্শ করে তারা চিনতে পারেন টাকার মূল্য কত বা কোন নোট আছে তাদের হাতে।

টাকার দু’প্রান্তে থাকা এই তেরছা দাগই হল দৃষ্টিহীনদের জন্য তৈরি সেই ‘ব্লিড মার্কস’। এই দাগ বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তাঁরা টাকা হাতে স্পর্শ করে বুঝতে পারেন সেটা ১০০, ২০০, ৫০০ নাকি ২০০০ টাকার নোট।

১০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে চারটি করে তেরছা দাগ থাকে। ২০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে থাকে চারটি করে দাগ। তবে দাগের মাঝের যে গ্যাপ থাকে সেখানে দু’টি করে ছোট বৃত্ত-ও থাকে। আর ৫০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে পাঁচটি করে থেকে মোট ১০টি দাগ। এবং ২০০০ টাকার নোটের দু’প্রান্তে সাতটি করে দাগ রাখা হয়।

Related posts

দরকারে গৃহবন্দি, তাও জামিন চান! জেল থেকে বেরোতে চেয়ে আদালতে আবেদন পার্থের

News Desk

প্রেমিকের অনেক দিন ‘খোঁজ’ নেই, খুঁজতে নেমে প্রেমিকের সত্যতা জেনে চোখ কপালে তরুণীর

News Desk

বাড়ির লোকের চোখ এড়িয়ে ১০ বছর প্রেমিকাকে নিজের বাড়িতেই লুকিয়ে রাখলেন যুবক! অতঃপর

News Desk