Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

মৃত মানুষের পোশাক আশাক ফের ব্যাবহার না করে কেন দান করে দিতে হয়! জানুন

জন্মিলে মরিতে হবে! জীবনের অমোঘ সত্যি হল মৃত্যু। জন্ম হলে মৃত্যু অবধারিত। যতই এটা মেনে নিতে খারাপ লাগুক না কেন আমাদের প্রিয় মানুষজনকে একদিন এই পৃথিবীতেই রেখে আমাদের সকলকে পরপারে চলে যেতেই হয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রকৃতির এই নিয়ম চলে আসছে। যতই জানি না কেন যে সকলকে চলে যেতেই হবে তাও যেন কেউ মারা গেলে সেই শোক সামলে ওঠার পর কিছু জিনিস ঘিরে নানান দ্বিধা থেকেই যায় পরিবারজনের মনে। তার মধ্যে অন্যতম হল, মৃত মানুষের পরিহিত বা ব্যাবহার করা পোশাকআশাক নিয়ে কী করা উচিত?

বহু মানুষেরই এমনটা বিশ্বাস যে ইহলোকের মায়া কাটিয়ে শরীর ত্যাগ করেছেন যিনি সেই মৃত মানুষের পোশাক জীবিত কারোর পরিধান উচিত নয়। কিন্তু কেন আমাদের সমাজে এই রীতি প্রচলিত, এর কারণ জানেন কি? হিন্দু ধর্মে বর্ণিত রীতির অনুযায়ী প্রতিটি কাজের পেছনে কোনও না কোনও যুক্তি নিশ্চয়ই আছে। মৃত মানুষের পোশাক ঘিরে সমাজে যে রীতি প্রচলিত, তার পেছনে লুকিয়ে কারণ আজ এই প্রতিবেদনে জানার চেষ্টা করব আমরা।।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে যখন নিকট কেউ মারা যান, তখন আমাদের কাছে রয়ে যায় শুধুমাত্র তার স্মৃতি। তার স্মৃতির মাধ্যমেই আমরা আমাদের কাছের চলে যাওয়া সেই মানুষকে মনে রাখি। কিন্তু স্মরণ করলেও জীবনে আমাদের এগিয়ে চলতে হয়। মৃত মানুষের সামগ্রী ব্যাবহার করলে আমরা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে পারি এমনটাই আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে। অতীতকে আঁকড়ে জীবনে কেউ বাঁচতে পারে না এবং বাঁচা উচিৎও নয়। যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে ছেড়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হবে। শোক চিরকাল মনের মধ্যে পুষে রাখা যায় না। সেই কারণে প্রিয় কোনও মৃত মানুষের পোশাক ও অন্যান্য জিনিস নিজের কাছে না রাখাই ভালো।

শাস্ত্র অনুসারে কাছের মানুষের মৃত্যু হলে তাঁর ব্যাবহার করা পোশাকআশাক কাউকে দান করে দেওয়ার কথা বলা আছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে মৃত্যুতে আত্মার ধ্বংস হয় না। গীতায় বলছে আত্মা অবিনশ্বর, এর সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই। যেমন আমরা পুরনো জামা ত্যাগ করি আত্মাও মৃত্যু মাধ্যমে জরাজীর্ণ দেহের বন্ধন ছিন্ন করে নতুন সূচনা করে। তাই তাঁর পোশাক কাছের কেউ ব্যবহার করে তাঁর স্মৃতিকে আঁকড়ে রাখলে আত্মার মুক্তি প্রাপ্তিতে বাধা দেখা দেয়। তাই আত্মাকে উর্ধ্বগতিতে বাধা না দিয়ে পরপারে তাঁর নতুন সূচনার পথকে মসৃণ করাই বিধেয়।

শাস্ত্র তাই বলে মৃত ব্যক্তির পোশাক দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করে দিন। আর মনস্তাত্বিকবিদ দের মতে মৃত ব্যক্তির পোশাক ও বাবহারিকৃত জিনিসপত্র চোখের সামনে দেখলে সেই ব্যাক্তির কথা বেশী করে মনে পড়বে। এতে নিকট কাউকে হারানোর শোক আরও প্রবল হয়ে ওঠে। বহু মানুষই এই শোক সামলে উঠতে না পেরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেই কারণেই মৃত মানুষের জিনিসপত্র দরিদ্রদের মধ্যে দান করে দেওয়ার রীতি প্রচলিত।

Related posts

২৭শে মে বিয়ে, ১০ই জুন শ্বশুর শাশুড়িকে ঘরে তালা বন্ধ করে ননদ কে নিয়ে পালালো কনে!

News Desk

যৌনতার সময় স্ত্রীর এই আচরণে ভয়ানক রেগে গেলেন স্বামী, বললেন- জানলে বিয়েই করতেন না

News Desk

কলকাতার দূর্গা পূজায় ইতিহাস তৈরী করল ৬৬ পল্লী! পূজার সম্পূর্ন দায়িত্বভারে মহিলা পুরোহিত

News Desk