চির ঘুমের দেশে লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। দীর্ঘদিন ধরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লতা মঙ্গেশকর সকাল ৮টা বেজে ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ সারাদিনই তাঁর স্মৃতিচারণা। তাঁর পছন্দ অপছন্দ , ভালোলাগা কে ফিরে দেখা। তার পছন্দের তালিকায় ছিল রঙিন পাড়ের সাদা রঙের শাড়ী। হ্যান্ডলুম সাদা শাড়িতে ভরে থাকত লতা মঙ্গেশকর ওয়ারড্রব।
যেখানে যেতেন না কেন, সে গান রেকর্ডিংই করতেই হোক, বা কোনও প্রোগ্রাম বা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান সব সময় তাঁকে সাদা শাড়িতেই দেখা যেত। এমনকি তাঁর নিজস্ব বাড়িতেও অনুরাগী বা পরিবারের সদস্য কিংবা নানা বিশিষ্ট শিল্পীরা পর্যন্ত, তাঁকে কখনও রঙিন শাড়িতে পড়তে দেখেননি।
লতা মঙ্গেশকরকে একবার যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি সাদা শাড়ি কেন পরেন? তখন এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই এই সাদা রং পছন্দ করি। এমনকি আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি ঘাগরা চোলি পরতাম, সেও সাদা পরত। কিন্তু মাঝখানে একটা সময় ছিল যে আমি রঙিন শাড়ি পরা শুরু করেছিলাম এবং আমি প্রতিটি রঙের শাড়ি পরতাম। কিন্তু এক-দুই বছর একদিন এভাবে বসে বসে ভাবলাম যে রঙিন শাড়ি পরার সময় বাছাবাছির শেষ নেই। আজ গোলাপি, কাল হলুদ আর পরের দিন নীল, এর কোনো শেষ নেই। আর এর কোন শেষ নেই, তাই একদিনেই ঠিক করলাম আজ থেকে সাদা ছাড়া আর কিছু পরবো না।
সাদা রঙ ভীষণ পছন্দ করতেন লতা মঙ্গেশকর। সাদা রঙের শুদ্ধতা যেন তিনি ধারণ করতেন অন্তরে। এটাও তার সাদা শাড়ির প্রতি ভালোবাসার অন্যতম কারণ। সাদা শাড়ি, দুই পাশে দুই বেনুনি আর কপালে গোল টিপ- এই স্টাইল স্টেটমেন্ট ছিল লতা মঙ্গেশকরের নিজস্ব। সাদা শাড়ির সাথেসাথে হীরার গয়না পড়তেও ভীষণ পছন্দ করতেন লতা। হীরার গয়নার দুর্দান্ত সংগ্রহ ছিল তার। ২০০৫ সালে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার জন্য স্পেশালি তৈরি করা একটি হীরার আংটি আমি উপহার পেয়েছি। এতে আমার নামের প্রথম অক্ষরটি খোদিত আছে। হীরা আর রুবিতে তৈরী এই আংটিটি আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান সম্পদ।’