মার্কেট থেকে কোনো নতুন পণ্য কিনে আনলে প্রায় সময় দেখা যায় তা বাবল র্যাপ দিয়ে মোড়া। আপাত দৃষ্টিতে এটি তেমন কোনো কাজে না আসলেও আমরা অনেকেই প্যাকেট থেকে বের করে ফাটাতে পছন্দ করি। আমাদের মধ্যে এমন কাজটি করেন না, তেমন মানুষের সংখ্যা কমই হবে। কিন্তু আমরা কেন ফাটাই বাবল র্যাপ-বিষয়টি কি কখোনো ভেবেছেন!
এক দল গবেষক বিষয়টির কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণার তথ্য বলছে, সামনে স্পঞ্জের মতো নরম জিনিস এলে তা ছুঁতে ইচ্ছে করে। একে বলা হয় এক ধরনের ‘প্যানিক’। এই প্যানিক এতটাই তীব্র হয় যে, কখনো কখনো নিজের হাতকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কাজেই অনেকটা আনমনে বুদবুদগুলো ফাটানোর ইচ্ছা সামলানো সম্ভব হয় না।
গবেষণা বলছে, মজার ছলে বাবল র্যাপ ফাটালেও ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্য। গবেষণা বলছে বাবল র্যাপ ফাটালে ভাল থাকবে মানসিক স্বাস্থ্য! যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ সহজেই কমাতে পারে এই অভ্যেস। মাত্র এক মিনিট বুদ্বুদ ফাটালে প্রায় ৩৩ শতাংশ মানসিক চাপ কমে যায়!
গবেষণায় জানা গেছে যে, হাতে কোনও ছোট জিনিস ধরে রাখলে ব্যক্তি বিচলিত হতে বাধ্য। চাপ ও অবসাদপূর্ণ পরিবেশে কাজ করলে এই প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে হাতে ছোট কোনও বস্তু ধরে রাখলে স্বস্তি পাওয়া যায় এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী স্নায়ুগুলিকে শান্ত করে। মনোবিদ রবার্ট ই থায়ার বলেন, ব্যক্তি যখন চিন্তিত হয় এবং চাপে পড়ে, তখন তারা নিজের কার্যপ্রণালী বোঝার জন্য স্বস্তি ও শান্তি লাভ করতে চান। এসময় তারা নিজের অজান্তেই আঙুল মটকান, পা নাড়ান বা বাবল র্যাপ ফাটান। এ কারণে কিছুক্ষণ বাবল র্যাপ ফাটানোয় ব্যক্তি স্বস্তি অনুভব করে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, যাঁরা বেশি বাবল র্যাপ ফাটাতে পছন্দ করেন, তাঁরা অনেক বেশি কাজ করতে পারেন। এমনকি, মনোযোগের অভাব দেখা দিলে এক টানা বেশ কিছু ক্ষণ বাবল র্যাপ ফাটালেই মিলবে উপকার!