Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

জানা আছে, কেন দেব সেনাপতি কার্তিক চিরকুমার? জানুন পুরাণকথা!

দেব সেনাপতি কার্তিক বীরত্বের প্রতীক, দেবতাদের সেনাপতি। পাশাপাশি অপরূপ সৌন্দর্যেরও প্রতীক তিনি। অশুভ শক্তিকে ধ্বংসকারী, স্কন্দকুমার।

দেবসেনাপতি কার্তিক বিবাহিত না চিরকুমার সেই বিষয়ে নানারকম প্রচলিত কথকথা চালু আছে। কিছু কিছু পৌরাণিক উপাখ্যান অনুযায়ী কার্তিক বিবাহিত। কিন্তু বঙ্গ দেশের প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, কার্তিক নাকি চিরকাল অবিবাহিত ছিলেন৷ কিন্তু কেন চিরকুমার রইলেন কার্তিক ঠাকুর, তা নিয়ে সকলের মনে প্রশ্ন জাগে৷

এই দৃশ্য দেখে ফেলেন কার্তিক। মায়ের এমন অবস্থা দেখে, তিনি মনে মনে খুব কষ্ট পান। আর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তিনি আর কোনদিন বিয়ে করতে যাবেন না। ব্যস, সেই থেকেই কার্তিকের নামের আগে আইবুড়ো কথাটি জুড়ে দেওয়া হয়।

প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, একদিন ভীষণ যুদ্ধ শেষে দানবদের পরাজিত করে কার্তিক নিজ গৃহ কৈলাসে ফিরছিলেন৷ তখন পথে রূপবতী এক দেবকন্যার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। পুরাণ অনুযায়ী সেই অপরূপ সুন্দরী দেবকন্যার নাম ছিল ঊষা। কার্তিক তাঁকে দেখা মাত্র বিয়ের প্রস্তাব দেন। দেবকন্যা ঊষাও কার্তিকের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। ঊষাকে সাথে নিয়েই বাড়ির পথ ধরেন কার্তিক। কৈলাশের কাছাকাছি পৌঁছে আচমকাই তাঁর মনে হয়, বাড়িতে স্ত্রী কে বধূ বেশে নিয়ে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নেওয়া উচিত৷ তাই ঊষাকে এক ধানখেতে দাঁড় করিয়ে রেখে নিজে দ্রুত যান দুর্গার কাছে কার্তিক৷ জিজ্ঞেস করে মায়ের থেকে অনুমতিও নেন।

দুর্গা কার্তিকের কথা শুনে অনুমতি দিলেন বটে তবে তা আদৌ মন থেকে কি না তা ভেবে দেখেননি কার্তিক। খুব তাড়াতাড়ি বর বেশে প্রস্তুত হয় ঊষাকে আনতে যাওয়ার আগে হঠাৎ কার্তিকের মনে হল মাকে বেরোনোর আগে প্রণাম করবার কথা। কিন্তু দুর্গা কোথাও নেই। চতুর্দিক খুঁজে দুর্গাকে শেষ পর্যন্ত পেলেন রান্নাঘরে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখলেন এক কাণ্ড। মা দুর্গা একটি সদ্য নিহত মহিষ এর মাংস কাঁচা কাঁচাই খাচ্ছেন গোগ্রাসে।

মায়ের এই ভয়ঙ্কর খাওয়ার দৃশ্য দেখে কার্তিক বললেন, “এ তুমি কী করছ মা?” দুর্গা উত্তরে জানান যেহেতু এখন কার্তিক বিয়ে করে বউ ঘরে আনবে, সেই বউ তাকে কোনও দিন খেতে দেবে, হয়ত কোনও দিন খেতেই দেবে না। তাই কার্তিকের বিয়ের আগেই সাধ মিটিয়ে শেষ বার খেয়ে নিচ্ছেন। কার্তিক বুঝতে পারলেন মা দুর্গার মন থেকে মত নেই বিয়েতে। তাই প্রতিজ্ঞা করলেন আর কখনো বিয়ে না করার।

এদিকে, কার্তিকের অপেক্ষায় তখনও ধানখেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ঊষা৷ কার্তিক আর আসে না৷ অবশেষে তিনি জানতে পারেন কার্তিকের প্রতিজ্ঞার কথা৷ কার্তিকের থেকে এই ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত বদলান ঊষাও৷ লজ্জায় সেই ধানখেতেই চিরকালের জন্য লুকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ঊষা৷ কার্তিক মাসে আমন ধানের শিষ বেরোয়৷ প্রচলিত আখ্যান অনুযায়ী ওই ধানের শিষই নাকি ঊষা৷ যে কারণে কার্তিক পুজোয় ব্যবহার করা হয় নতুন ধানের শিষ।

Related posts

আবারো ঊর্ধমুখী করোনা গ্রাফ, বাড়লো মৃত্যুহারও, চিন্তা ধরাচ্ছে মহারাষ্ট্রের করোনা সংক্রমণ

News Desk

কাল থেকে শুরু নবরাত্রি। ৯ দিনের কোন দিন মা দুর্গার কোন ৯টি রূপের পুজো হয় ও তার গুরুত্ব

News Desk