হয়তো আপনার গা শিহরণ দিয়ে উঠবে কিছু কিছু খাদ্য খাওয়ার কথা শুনলেই। আপনি বিশ্বাসও হয়তো করতে চাইবেন না।
আজ্ঞে হ্যাঁ, আর যদি সেটা আরশোলার জুস হয় তাহলে? এমনিতেই অনেকে মূর্চ্ছা যান আরশোলা দেখলে। আবার খাওয়ার কথা এর মধ্যে?
তবে আমাদের সঙ্গে তো আর তুলনা করলে হবে না চিনের লোকেদের! সব ব্যাপারই ভিন্ন তাঁদের। যত ভাইরাস ঐ দেশেই, যত হিজিবিজি খাবার ঐ দেশেই। তাঁদের আরশোলার বিশেষ স্থান রয়েছে খাদ্য তালিকায়।
তবে আপনি কি জানেন, শুধু খাবার নয়, এমনকী তাঁরা কিনে খান আরশোলা দিয়ে বানানো ওষুধও। নিশ্চয়ই বিশ্বাসও হচ্ছে না আপনাদের যে কীভাবে এতসব করা হয় গা ঘিনঘিনে এই পোকাটা দিয়ে!
তবে শুধু চিন একাই নয় আরো কয়েকটি দক্ষিণ এশিয় দেশ আছে তাদের দলে। তাঁরা দিব্যি আরাম করে খেয়ে নেন আরশোলা ভেজে। কুড়মুড় করে বিন্দাস খেয়ে ফেলেন আরশোলা ভাজা। স্বাভাবিক এতটাই।
চিনের শাংচান শহরে প্রত্যেক বছরে একটি বিল্ডিং-এ কমপক্ষে ৬০০ কোটি আরশোলা পালন করা হয় যা দক্ষিণ চিনের মর্নিং পোস্ট-এর খবরে পাওয়া গেছে।
সেই বিল্ডিং-এর আয়তন দুটি বড় ময়দানের সাইজের হবে। আলোর প্রবেশ নিষেধ সেই বাড়িতে। আর সেখানকার যা তাপমাত্রা তাতে খুবই উপযুক্ত আরশোলার বেঁচে থাকা এবং বংশ বিস্তার করার পক্ষে।
আরশোলাগুলি নিজেদের ইচ্ছে মতো হাঁটাহাঁটি, যা ইচ্ছা করতে পারে বাড়ির ভিতরে। এবার যা পড়বেন তাতে হয়তো গা ঘিনঘিন করে উঠবে আপনার।
আরশোলাগুলিকে খুব ভালোভাবে খাওয়ানো দাওয়ানো হয় বাড়ির ভিতর। এরপর ভালো করে রস তৈরি করা হয় সেই আরশোলাগুলোকে চিপে নিয়ে। সেটা দিয়ে আরশোলার শরবত তৈরি হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, আরশোলার রস খেলে পেট খারাপ সেরে যায়, এমনকী বন্ধ হয় বমি, পেটের আলসার আর নিঃশ্বাসের কষ্টও দূর হয়ে যায় প্রাচীন চিনা চিকিৎসা অনুযায়ী।
নিঃশ্বাসের জন্যে যে আরশোলা ভালো আমরা ভারতীয়রাও সেটা জানি অনেকেই।
চিনের শানডং কৃষি বিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, আরশোলা পুরোপুরি নিজেই তো একটা ওষুধ। প্রচুর ভেষজ গুণ আরশোলার।
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, পশ্চিম দেশের ওষুধের তুলনায় অনেক সস্তাও আরশোলার তৈরি ওষুধ।
চিনের সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্প অনুযায়ী আরশোলার তৈরি ওষুধের ব্যবহার হচ্ছে সেদেশের হাসপাতালে।