Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

হিন্দুদের যেকোনো শুভকাজে , পূজো অর্চনায় কলাগাছ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? জানা আছে?

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো শুভকাজে যে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই দেখতে পাওয়া যায় তারমধ্যে কলাগাছ অন্যতম। কিন্তু কেন হিন্দু ধর্মে কলাগাছের স্থান এত গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো অনেকেরই অজানা৷ ইতিহাস অনুযায়ী খ্রিষ্টপূর্ব ৮ হাজার বছর আগেও কলাগাছ ছিল। পৃথিবীর প্রায় ১০৭টি দেশে কলাগাছ এর দেখা মেলে। প্রতিদিনের জীবনেও কলাগাছের অসংখ্য ব্যবহার বললে শেষ হবার নয়। কলাগাছের ফুল বা মোচা, ফল, কান্ড বা থোর, সবকিছুই খাওয়া যায়। পাতা ব্যবহার করা হয় খেতে দেওয়ার পাত্র হিসেবে। এছাড়া কলাগাছ হস্তী মহারাজের প্রধান খাদ্য। কলা বানরের ও ভীষণ প্রিয় খাদ্য।

হিন্দুধর্মে কলাগাছকে ভীষণ পবিত্র বলে মনে করা হয়৷ শুভ অনুষ্ঠানে, পুজোয় বাড়ির দরজার সামনে দেখতে পাওয়া যায় কলাগাছ রাখা৷ কলাগাছ দুর্গাপুজোয় স্থান পায় গনেশ ঠাকুরের কলাবৌ হিসাবে। কলা ছাড়া পুজোর ঘটটি পাতা যায় না। একইসঙ্গে অনেক সময় শুভ কাজে বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করার সময় কলাগাছের পাতায় খেতে দেওয়া হয়৷ বৃহস্পতিবার কলা গাছকে পূজা করার রীতি আছে৷ নারায়ন পুজোয় প্রসাদ হিসেবে বা সিন্নি তৈরী করতে কলা ব্যবহার করা হয়৷

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কলাগাছ বৃহস্পতির প্রতিরূপ এবং বিষ্ণুর স্বরূপ বলে মনে করা হয়ে থাকে। আগা থেকে গোড়া কলাগাছের পুরো অংশটিই লাগে পুজোর নানা কাজে৷ দেবগুরু বৃহস্পতি’র সঙ্গে তুলনীয় কলাগাছ সেই কারণেই বৃহষ্পতিবার কলা গাছের পুজো করলে দেবগুরুর কৃপায় গৃহস্থের বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে গৃহস্থের হয় অর্থনৈতিক উন্নতি, গৃহে আসে সমৃদ্ধি। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে বলা হয় বৃহষ্পতিবার কলা গাছের পুজো করলে কাজের জায়গায় এবং সামাজিক জীবনে বাড়ে সম্মান এবং প্রতিপত্তি।

এছাড়া কলাগাছের পাতায় খাবার খাওয়া হয়, ফুল বা মোচা রান্না করে খাওয়া হয়, থোড় তরকারী রান্নার পাশপাশি কাজে লাগে আয়ূর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে৷ বৃহস্পতি রত্ন পাথরের সঙ্গে তুলনা করা হয় কলাগাছকে৷ গুরু বৃহস্পতির রত্ন পাথর এতই দামী যে অনেকেরই সেটি ক্রয় করে ধারণ করার মতন সামর্থ্য থাকে না৷ সেই ক্ষেত্রে কলাগাছের শিকড় ছোট করে কেটে হাতে পড়লেও রত্নের কাজ করে৷ শুধু তাই নয়, কলাগাছ উপস্থিত থাকলে গৃহে প্রবেশ ঘটে গুরুর। প্রসঙ্গত, বাড়ির মূল দরজায় কলা গাছ রাখলেও সমান উপকার মেলে।

কলা গাছ হল ভগবান নারায়নের স্বরূপ। তাই তো বাড়িতে কলা গাছ লাগালে ভগবান বিষ্ণুও সাথে সাথে অবস্থান করে সেই বাড়িতে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বৈশাখ, মাঘ এবং কার্তিক মাসের শুক্লা চতুর্দশির দিন যদি গৃহস্থের বাড়িতে কলা গাছ পোঁতা হয় এবং যতক্ষণ না সেই কলা গাছে ফল এবং ফুল আসছে, ততক্ষণ সেই কলা গাছের যত্ন করা যায়, তাহলে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রবেশ হয় না এবং বাড়ির প্রতিটি সদস্যের মঙ্গল হয়।

Related posts

বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এড়াতে স্ত্রীকে অপহরণ করে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠালেন স্বামী, তারপর

News Desk

ভৌতিক! বিয়ের পর ডোনার সাথে রাজস্থান গিয়ে টানা দু’ রাত ঘুমোননি সৌরভ? কেন?

News Desk

শরীরে করোনার লক্ষণ কিন্তু তাও রিপোর্ট নেগেটিভ, ফেলে না রেখে সাথে সাথে এই কাজটি করুন।

News Desk