কপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, জেনারেল বিপিন রাওয়াত। স্যাম মানেকশ, দলবীর সিং সুহাগের পর, তিনি গোর্খা ব্রিগেডের তৃতীয় অফিসার, যিনি দেশের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। আর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হন তিনি।
তার এমন দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে শোকের ছায়া। আর এরই মাঝে বুধবারই সন্ধ্যায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রি গোষ্ঠীর বৈঠক বসে ৭ লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী সিডিএস-এর নিযুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটি আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে পূরণ করা হবে, শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর যেকোনো কমান্ডিং অফিসার (Commanding officers) বা ফ্ল্যাগ অফিসার পদের জন্য যোগ্য।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিম শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালরা উপস্থিত হন। একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের মাঝে সিডিএসের অকাল প্রয়াণ যে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। এই আবহে উঠে আসছে একাধিক নাম। তবে তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভনে ( Manoj Mukund Naravane)। এই মুহূর্তে তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে তিনিই সিনিয়র মোস্ট। ২ নম্বরে রয়েছে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরীর নাম। তবে তিনি এই পদে এসেছেন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। সিনিয়রিটির বিচারে সিডিএস হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন নৌসেনা প্রধান চিফ অফ নাভাল স্টাফ রাধাকৃষ্ণণ হরিকুমারও। তিনি দায়িত্ব নেন সপ্তাহখানেক আগে, ৩০ নভেম্বর। পদমর্যাদায় সিডিএস নম্বর ২ হলেও, চিফ অফ ইন্টিগ্রেটেড স্টাফ কমিটি এয়ার মার্শাল বিএম কৃষ্ণ সিনিয়রিটির বিচারে বাকিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। সূত্রের খবর, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই বিপিন রাওয়াতের পদে খুব শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে নতুন সিডিএস।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হন বিপিন রাওয়াত। মূলত তিন বাহিনীর যৌথ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মূল পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।