তামিলনাড়ুর কুনুরে সেনাবাহিনীর চপার MI-17V5 দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তার স্ত্রী সহ আরো বেশ কয়েকজন পদাধিকারী সেনা কর্তার। আর্মি, নেভি এবং এয়ার ফোর্স এর সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
বিপিন রাওয়াত ১৯৫৮ সালের ১৬ মার্চ উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে জন্মগ্রহণ করেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি (NDA) এবং ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি (IMA) এর প্রাক্তন ছাত্র, বিপিন রাওয়াত ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তার বাবা লক্ষ্মণ সিং ভারতীয় সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল ছিলেন। বিপিন রাওয়াত এর পরিবার চার প্রজন্ম ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী, ডাঃ মধুলিকা রাওয়াত। সিডিএস রাওয়াতের যোগ্য সহধর্মিনী মধুলিকা রাওয়াত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি আর্মি ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (AWWA) সভাপতিও ছিলেন, এবং সমাজিক নানা কাজে যুক্ত ছিলেন।
ডাঃ মধুলিকা রাওয়াত সমাজের উন্নতির জন্য অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং সেনা জওয়ানদের বিধবা স্ত্রী, ভিন্নভাবে প্রতিবন্ধী শিশু, ক্যান্সার রোগী এবং ভারতীয় সেনা কর্মীদের উপর নির্ভরশীলদের কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন।
সামাজিক কাজে অগ্রগামী, মাধুলিকা রাওয়াত সেনাবাহিনীর স্ত্রী দের জীবন স্কিল শেখানোর মাধ্যমে এবং তাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে কোর্স করার জন্য অনুপ্রাণিত করে ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করেছিলেন। জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত তাদের দুই মেয়ে কৃতিকা রাওয়াত ও তারিণী রাওয়াত কে তাদের উত্তরসূরি হিসাবে রেখে গেলেন।
আজ দুর্ঘটনা সন্মুখীন হওয়া ভারতীয় বায়ু সেনার হেলিকপ্টারটি সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং ডাঃ মধুলিকা রাওয়াতকে নিয়ে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু অবতরণের কিছুক্ষণ আগে ভেঙ্গে পরে। অন্য যারা এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় প্রাণ হারান তারা হলেন ব্রিগেডিয়ার এল.এস. লিডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, নায়েক বিবেক কুমার, নায়েক বি সাই তেজা, হাভালদার সাতপাল এবং পাইলটরা।