করোনার হাত থেকে কবে পাওয়া যাবে মুক্তি? এখন সেই দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। ওমিক্রন নিয়ে যখন আশঙ্কায় ভুগছে গোটা দেশ, সেই সময় আশার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) কোভিড টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে নির্মূল হয়ে যাবে করোনা।
এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষের হাতে এসেছে পৌঁছেছে টিকা। জোর কদমে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকাকরণও। ফলে এই ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে খুব শীঘ্রই, মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সম্প্রতি Mckinsey-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, টিকার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে ওষুধও এসে পৌঁছবে কিছু দিনের মধ্যেই। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ২০২২ সালের মধ্যেই করোনা মহামারী শেষ হবে। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিভিন্ন স্ট্রেন এভাবেই ধ্বংস হয়েছে।
সম্প্রতি কর্নাটকের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণমন্ত্রী Dr K Sudhakar বলেছিলেন, , ‘ওমিক্রন হয়তো করোনার শেষের শুরু। কিন্তু, এখনই এই নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। অতীতের অভিজ্ঞতা এবং প্রমাণ বলছে সমস্ত মহামারী বাধ্যতামূলকভাবে শেষ হয়।’ এদিকে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহামারী বিশেষজ্ঞ ডা: সুভাষ সালুঙ্কে বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন। ‘ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটে সেক্ষেত্রে তা গত কয়েকমাসের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের জায়গা দখল করে নেবে।’
একদিকে যখন করোনার হাত থেকে মুক্তির বিষয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ তখন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন ফাইজার সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক আধিকারিক মাইকেল ডলস্টেইন। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জারি থাকবে অতিমারি। তবে কিছু দেশগুলিতে এই কোভিড রোগটি মহামারীতে পরিণত হবে। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে প্রশাসনের হাতে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রতিটি দেশ কী ভাবে এবং কত দ্রুত সকলকে টিকা দিতে পারছে, এবং টিকার প্রভাবে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি কতটা তৈরি হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে কোভিড-১৯ এর ক্ষমতা। ভ্যাকসিনেশনের হার কম হলে কোভিড আরও বেশি সময় ধরে বিশ্বে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’