মহামারি কিংবা ব্যস্ত জীবনে শপিংমলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার সময় নেই কারো। প্রযুক্তির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সবাই। ঘরে বসে অনলাইন থেকেই কেনাকাটা করছেন। জামাকাপড় থেকে শুরু করে ডিভাইস এমনকি ঘরের আসবাবপত্র, বাড়ি গাড়ি সবই বিকিকিনি হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে।
কয়েক বছর দুই ধরে অনলাইন কেনাকাটা জমে উঠলেও এর শুরুটা আজ থেকে ৫০ বছর আগে। কিন্তু ১৯৭১ থেকে ৭২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আরপানেট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডফোর্ড এবং এমআইটির শিক্ষার্থীরা গাঁজা বিক্রির আয়োজন করেন! হ্যাঁ এটিই অনলাইনে বিক্রি হওয়া প্রথম পণ্য।
ই-কমার্স সফটওয়্যার শপিফাইয়ের একটি ভিডিও অনুসারে, ১৯৭১ থেকে ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি সময়ে আরপানেট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডফোর্ড এবং এমআইটির শিক্ষার্থীরা গাঁজা বিক্রির আয়োজন করেন। সুতরাং সে হিসাবে গাঁজাই ইন্টারনেটে বিক্রি হওয়া প্রথম পণ্য!
তবে, তারা নেটে কোনো আর্থিক লেনদেন করেননি। তাছাড়া গাঁজা বেচাকেনাও বৈধ ছিল না। তারা কেবল গোপনে সাক্ষাতের আয়োজন করেছিলেন। আর তাই বিষয়টিকে ইন্টারনেটে হওয়া প্রথম লেনদেনের চুক্তিও বলা যেতে পারে।
শপিফাই আরেকটি তথ্যও দেয়। ১৯৮৪ সালে ৭২ বছর বয়সী নারী জেন স্নোবল টেলিভিশন ব্যবহার করে স্থানীয় দোকান থেকে মার্জারিন, ডিম আর কর্নফ্লেক্স অর্ডার দেন। ইংরেজ প্রযুক্তিবিদ মাইকেল আলড্রিচের ‘ভিডিওটেক্স’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি টিভিকেই কম্পিউটারের মতো ব্যবহার করতে সক্ষম হন। স্থানীয় দোকানে ফোনকলের মাধ্যমে টেলিভশনের তালিকার পণ্যগুলো তার ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়। নগদ টাকা দিয়ে জেন পণ্যগুলো গ্রহণ করেন।
তবে, সব শর্ত মেনে একদম প্রথম অনলাইন লেনদেন সম্ভবত ১৯৯৪ সালে হয়েছিল। সে বছর আগস্টে ড্যান কন নেট-মার্কেট নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তিনি ফিলাডেলফিয়ার এক বন্ধুর কাছে ১২.৪৮ মার্কিন ডলারে স্টিংয়ের “টেন সামোনারস টেলস” সিডি বিক্রি করেন। শিপিং চার্জসহ টাকাগুলো দিতে তার বন্ধু ডেটা এনক্রিপশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিরাপদে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার সরবরাহ করে।