প্রতিদিনকার রান্নায় পেঁয়াজ না হলে কি চলে। পেঁয়াজ কাটার সময় ঝাঁঝে চোখ জ্বালা করে, চোখে জল চলে আসে। পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল আসা স্বাভাবিক ঘটনা। পেঁয়াজ কাটলে, বাটলে কিংবা সেটি নষ্ট হয়ে গেলেও তা থেকে ঝাঁঝ বের হতে থাকে। পেঁয়াজে আছে অ্যাল্লিনেস নামে এক ধরনের উৎসেচক। সেগুলো সালফেনিস অ্যাসিডের কোনও অণুর সঙ্গে মিশলেই ল্যাক্রিমেটরি ফ্যাক্টর বা এলএফ নামে এক ধরনের উদ্বায়ী পদার্থ উৎপন্ন হয়। এই কারণে পেঁয়াজ কাটলে বাতাসে তার ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এক নিমেষে। এবং এর ফলে বায়বীয় পদার্থ তৈরি হয়। যা চোখে গেলে চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। যা বেশ অস্বস্তিকর।
কী করবেন?
পেঁয়াজ কাটার সময় ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করুন। এর ফলে পেঁয়াজের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে চোখে জল আসার সম্ভাবনা কমবে।
পেঁয়াজের আগা এবং ডগাতে সবচেয়ে বেশি এনজাইম থাকে। তাই আগেই পেঁয়াজের মুখ একটু বেশি করে কেটে নিন।
খোলা জায়গা যেমন জানালার পাশে বা ভেন্টিলেটর চালু করে পেঁয়াজ কাটুন। এতে পেঁয়াজের চোখ জ্বালানি গ্যাস তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়।
আপনার চোখের ওপর পেঁয়াজের গ্যাসের প্রভাব কমাতে আরেকটি উপায় হচ্ছে, বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে পেঁয়াজ কাটা। ফ্যানের নীচে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটলেও চোখ জ্বালা তুলনামূলক কম হয়।
পেঁয়াজর মুখের অংশ কেটে দশ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। চোখে জল আসবে না। তবে এতে পেঁয়াজের স্বাদের সঙ্গে কিছুটা আপোস করতে হবে।
রান্নার আঁচ আছে এমন জায়গার পাশে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটলে আগুনের সালফার পেঁয়াজের এনজাইমকে নষ্ট করে দেয়। এতে চোখ জ্বালা করার সম্ভাবনা কমে যায়।
পেঁয়াজ যদি খুব দ্রুত গতিতে কাটতে পারেন তাহলেও চোখে জল আসার সম্ভাবনা কমে।
পেঁয়াজ কাটার আগে সেটি মিনিট পনেরো ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জলে রাখতে পারেন। চোখে জল কম আসবে।