হাতের রেখা দেখে বিচার করে জ্যোতিষ পদ্ধতির মাধ্যমে বলা যায় সেই ব্যাক্তির চরিত্র, ভবিষ্যৎ ইত্যাদির বিষয়ে। জ্যোতিষের এই ভাগকে ইংরেজিতে পামিস্ট্রি বলা হয়। পাম এবং মিস্ট্রি, যার বাংলায় তর্জমা করলে দাড়ায় হাতের তালুর রহস্য। এই হাতের রেখা দেখে বিচার করেন যারা জ্যোতিষের ভাষায় তাদের বলা হয় হস্তরেখাবিদ।
হস্তরেখাবিদের মতে, আমাদের সবার হাতে যে আঁকিবুকি নানা রেখা কাটা থাকে, সেই রেখা বিশ্লেষণ করা হয় বেশ কিছু ভিত্তিতে। আর এনাদের মতে হাতের রেখার মধ্যে যদি ফুটে ওঠে এই বর্ন তাহলে আপনি অবশ্যই স্পেশাল। আর এই বর্ন ফুটে ওঠার মাধ্যমেই আঁচ পাওয়া যায় চরিত্র এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। বিষয়টা কেমন? জেনে নিন।
একটু নিজের হাতের রেখার দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখুন তো! তালুর হাতের রেখা যদি ইংরাজির বর্ণমালার M অক্ষরের মতো কিছু খুজেঁ পাচ্ছেন কি? যদি খুজেঁ পান, তাহলে তো আপনি বেশ ভাগ্যবানই বলা যায়। কেননা হস্তরেখাবিদের মতে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মোট ৩ শতাংশ মানুষের হাতের রেখায় এই চিহ্নটি খুজেঁ পাওয়া যায়।
হস্তরখাবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যাঁদের হাতে এই ইংরাজির বর্ণমালার ‘M’ অক্ষরের চিহ্ন দেখা যায়, তাঁরা নানা অসাধারণ গুনের অধিকারী। বলা হয়, যদি কারো হাতের তালুর মধ্যে উপস্থিত মস্তিষ্করেখা, হৃদয়রেখা আর জীবনরেখা সংযুক্ত করলে যদি M-এর মতো দেখতে হয়, তাহলে সেসব ব্যক্তি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হন। পুরুষের হাতে এই অক্ষর এর মত রেখা থাকলে সেই পুরুষ খ্যাতি, যশের অধিকারী হন। দারুন বুদ্ধি ও চিন্তাভাবনা করার কৌশল তাঁদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এঁরা জীবনে ভীষণ সফলতা লাভ করে পাশপাশি এরা যে কোনও পরিস্থিতিতেই নিজেরদের মানিয়ে বুঝিয়ে নিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম ও উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমে কাজ চূড়ান্ত সফলতা লাভ করেন। সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে জীবনে সফলতা লাভই যেন এদের হাতে লেখা থাকে। শুধু তাইই নয়, প্রেমের ক্ষেত্রেও ভাগ্য ভালো হয় হাতে M অক্ষরের অধিকারীদের।
আর যেসব মহিলার হাতের তালুর মধ্যে উপস্থিত থাকে M অক্ষরের মত চিন্হ, তারা খুব ভাল মা হতে পারেন জীবনে। এমনই জানাচ্ছেন হস্তরেখাবিদরা। এই মহিলারা সাধারণত উদার মনের অধিকারী। পাশাপাশি পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো উপস্থিত বুদ্ধিও থাকে। বিভিন্ন কাজে কৌশল ও দক্ষতার হিসাবে এনাদের বেশ সুনাম হয়। কর্ম জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও দারুণ সুখী হন এঁরা। আর যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ের হাতেই এই M অক্ষরের মত চিহ্ন থাকে, তবে সেই জুটিকে রাজযোটক বলে বিবেচনা করা হয়।
বলা হয় মানব জীবনের ভাগ্যের ইঙ্গিত থাকে হাতের রেখায়। অবশ্য পরিশ্রমেই গড়ে ওঠে ভাগ্য কিন্তু অনেক মানুষই নিজের আগাম ভবিষ্যৎ জানতে আগ্রহী। অবশ্য দৈনিক সংবাদ অন্ধবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে চলতে বলে না।