বাংলায় বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) কাঁটা। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, একদিনে একসঙ্গে ৫ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন বিদেশ ফেরত হলেও চারজনের বিদেশযাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। এ রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২।
কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের (Contact Tracing) মাধ্যমে ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আসতেই আশঙ্কা বেড়েছে। আরও ৭০০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত নতুন পাঁচজনের মধ্যে ২ জন কলকাতা, একজন হাওড়া ও আরেকজন উত্তর ২৪ পরগনার (দমদম) বাসিন্দা। তাঁদের বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। অপর জন ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন।
বিদেশ যাত্রার ইতিহাস না থাকা সত্ত্বেও চারজন ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তা আরও বেড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্যে ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ ছড়াচ্ছে? যদিও সে কথা মানতে নারাজ স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁদের দাবি, সামাজিক সংক্রমণ ছড়ায়নি। তাহলে কীভাবে ছড়াল ওমিক্রন, তার উত্তর অবশ্য মেলেনি। কারণ, গত ১০ দিনে আক্রান্তরা কার-কার সঙ্গে মিশেছেন তার ইতিহাস পাওয়া সম্ভব নয় বলে খবর। ফলে আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এই অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করে বাড়তি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবারই। আর রাতেই বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য নতুন করে কোভিড (COVID-19) বিধি জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। বিদেশ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামলে এবার থেকে নতুন একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হবে যাত্রীদের, নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
বিমানবন্দরে নামলে কোভিড পরীক্ষার জন্য RT-PCR টেস্ট হচ্ছিল এতদিন। তাতে নেগেটিভ হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যেত। কিন্তু এবার থেকে নেগেটিভ হলেও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তার ৮ দিন পর ফের কোভিড টেস্ট করতে হবে। বিদেশ থেকে ফেরার ৮ দিন পর আবার কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। ফলাফল পজিটিভ হলে কোনও হাসপাতালে ভরতি হয়ে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে। নেগেটিভ হলে মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine) থাকতে হবে যাত্রীদের।