তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই ব্রা পরে রাতে ঘুমানো বা সর্বক্ষণ ব্রা পরে থাকা ভালো না মন্দ এটা নিয়ে। চব্বিশ ঘণ্টা ব্রা পরে থাকা তাঁদের ফিগার সুন্দর রাখতে সহায়তা করে তা অনেকেই মনে করেন, আবার অনেকেই বলেন যে স্তন ক্যান্সারের কারণ এই অভ্যাসটি! কিন্তু কোনটা সত্য আসলে? কিংবা ব্রা পরে থাকার নিয়মটি কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
নানান মিথ প্রচলিত রয়েছে মহিলাদের স্তন যুগল সম্পর্কে। ব্রা পরার ওপর জোর দেওয়া হয় স্তনের শেপ ও সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য। এমনকি অনেকে ব্রা পরা থেকে মুক্ত করতে পারেন না নিজেকে বাড়িতে থাকলেও। আবার গরম কালেও অনেক মহিলাই নিজেকে ব্রায়ের স্ট্র্যাপে জর্জরিত রাখেন। তবে মাঝে মধ্যে মনে হতেই পারে যে, কত ভালো হত ব্রা না-পরতে হলে! অনেকে আবার ব্রা খুলে ফেলতে চান বাড়িতে থাকলে? এবার তা নির্দ্বিধায় করতে পারেন। এখানে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেওয়া হল, যা জানার পর দ্বিধা বোধ করবেন না অনেকে ব্রা ছাড়া থাকতে।
বিউটি স্টিরিওটাইপ ও ব্রা
ব্রা সম্পর্কে একাধিক স্টিরিওটাইপ রয়েছে আমাদের সমাজে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, ব্রাকে আবার জড়িয়ে দেখা হয় সভ্যতার সঙ্গেও। তবে মনে রাখবেন শুধুমাত্র একটি অন্তর্বাস ব্রা। মহিলার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ হতে পারে, ব্রা পরা বা না-পরা। অনেকে আবার বলে থাকেন যে, স্তন ঝুলে পড়তে পারে বা শেপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে ব্রা না-পড়লে। আরও কত কী!
স্বাস্থ্যের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ রয়েছে কী?
একাধিক গবেষণায় প্রকাশিত ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে ব্রা পরলে। তবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায় ব্রা পরলে। বাস্তবে সাফোকেশন অনুভব করতে পারেন অধিক সময় পর্যন্ত ব্রা পরে থাকলে।
নানান উপকারিতা রয়েছে ব্রা না-পরার। জেনে নিন—
স্তনের ত্বক ভালো থাকে- ব্রা পরে থাকলে নোংরা জমে থাকতে পারে এবং ঘামও হতে পারে ত্বকে। এর ফলে সম্ভাবনা দেখা দেয় রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার। এমনকি হতে পারে জ্বালাও। বিশেষত জ্বালাও হতে পারে ত্বকে।