করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশের মানুষ। হসপিটাল বেড, অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার হাহাকার সর্বত্রই।
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতেরই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর নেমে এসেছে প্রচন্ড চাপ। করোনা রোগী যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের জন্য হাসপাতালে একটা বেড জোগাড় করতে নাভিশ্বাস উঠছে পরিবারের সদস্যদের। পশ্চিমবঙ্গের সরকার সরকারী হাসপাতাল ছাড়াও ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রচুর শয্যা অধিগ্রহণ করেছে। তা সত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত সংখ্যা এতটাই বেশি হচ্ছে যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালগুলিও এগিয়ে এসেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই তারা কোন হাসপাতালে গেলে সুরাহা হবে। তাই এই সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সরকারের পক্ষ থেকে এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও সমস্যা মিটতে পারে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।
কোন কোন জেলায়, কোন কোন হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে এই সব কিছুর জানার উপায় হিসাবে চালু করা হয়েছে এই ওয়েবসাইট। রাজ্য সরকারের তরফে এই নতুন ওয়েবসাইট থেকে কিছুটা হলেও সাহায্য পাওয়া যাবে মনে করছেন বহু মানুষ। ওয়েবসাইটির নাম ‘ইন্টিগ্রেটেড কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।’ সেই ওয়েবসাইটে বিবৃতি দেওয়া রয়েছে যে, রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতাল যেন দিনে অন্তত দুই বার, দুপুর ১২ টা এবং সন্ধ্যা ৬ টায় ফাঁকা বেডের তথ্য আপডেট করে। যদিও এই ওয়েবসাইটে ফাঁকা শয্যার সংখ্যা দেখে রোগীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগে অন্তত একবার হাসপাতালে ফোন করে তারপর নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য।
শুধু তাই নয়, এই ওয়েবসাইটে ফাঁকা বেড- এ রোগীকে ভর্তির জন্য অ্যাপ্লাইও করা যাবে। কিন্তু কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট ছাড়া আবেদন করা যাবে না। অনলাইনেই আবেদন করা যাবে ফাঁকা শয্যার জন্য। কোভিড টেস্টের সময় যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নম্বর দিয়েই বেডের জন্য আবেদন জানতে হবে। আবেদন করার সময় সবার জেলা বেছে নিতে হবে। এরপর বাছতে হবে সরকারি, সরকার অধিগৃহীত নাকি বেসরকারি হাসপাতাল কোনটি বাছছেন আবেদন করার জন্য। তার পর সেই বিকল্পগুলিতে ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট জেলার হাসপাতালের তালিকা চলে আসবে। হাসপাতালের ফোন নম্বরও জেনে নেওয়া যাবে।