পশ্চিমবঙ্গে কার্যত লকডাউন শেষ হলে রাজ্য জুড়ে গণপরিবহণ সচল করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের আজ জানানো হয়েছে।
বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের ভাড়ার পরিবর্তন না হলে আর রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়। বর্ধিত জ্বালানির কারণে, নিজেদের আর্থিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে প্রতি জেলায় এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাসমালিকরা। তাঁদের একাধিক সংগঠন চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি জেলাশাসকদের জানিয়েছে বলেও খবর। ডিজেলের দাম ৯০ টাকা প্রতি লিটার, এমন অবস্থায় ভাড়া না বাড়ালে কিভাবে বাস পরিষেবা সচল রাখা যেতে পারে, এই নিয়ে আশঙ্কিত তারা।
বাসমালিকদের সংগঠন অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘আমরা গত ১ বছর ধরে রাজ্য সরকারের সাথে বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে আবেদন করে আসছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এখন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, পুরোনো ভাড়াতে আর বাস চালাতে পারব না। বিভিন্ন জেলায় আমাদের যেসব সংগঠন রয়েছে, তারাও একই কথা বলছে।’
এই বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে বাসমালিকদের বিভিন্ন সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ, বুধবার থেকে নানা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের গায়ে তাদের এই দাবি নিয়ে পোস্টার সেঁটে পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে নিজেদের অক্ষমতার কথা প্রচার করবে তারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে ‘দিদি আমাদের বাঁচান’ লেখা পোস্টার বাসের গায়ে সাঁটছে তারা।
অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী না হলে পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়বে।’’
আরও একটি বাস সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে ‘‘ডিজেলের দ্রুত হারে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিষেবা দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব । ভাড়া না-বাড়লে পরিষেবা সচল রাখা সম্ভব নয়।’’