ভারতে করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে এবং বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। ইতিমধ্যে মহামারী বিশেষজ্ঞ ডক্টর টি জ্যাকব জন (Virologist Dr T Jacob John) ভারতের জন্য একটি বড় স্বস্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি বলেন, ভারতে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শেষ, আর চতুর্থ ঢেউ আসবে না। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ (Covid Fourth Wave) আঘাত হানবে না। অবশ্য যদি না কোনো নতুন অতি সংক্রামক প্রজাতি আসে তাহলেই। নতুন কোন প্রজাতির সাথে হয়ত এরকম কিছু ঘটতে পারে, কিন্তু এই মুহূর্তে এমন কোন সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত একদিনে 3,993 টি নতুন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা গত 662 দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারির পর থেকে ক্রমাগত কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তখন দেশে মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৪ জন করোনা অ্যাক্টিভ কেস ছিল, যা এখন দ্রুত কমে ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ভাইরোলজির প্রাক্তন ডিরেক্টর ডাঃ জন বলেছেন যে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এটা এখন স্পষ্ট যে এই অতিমারিটি এখন মহামারীর অন্তিম পর্যায়ে পরিণত হয়েছে।
করোনার শেষ নিয়ে কেন এই স্বস্তি জনক তথ্য দিলেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার:
ডক্টর জন বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই অতিমারীটির প্রভাব এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং একটি দুর্বল মহামারীতে (Endemic) পরিণত হয়েছে। গত ৪ সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তিনি বলেন, সারা দেশে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা যাচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতির আরও পরিবর্তন হবে।
কোন পরিস্থিতিতে চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে, তাও জানিয়েছেন:
এর আগে তৃতীয় ঢেউ নিয়েও এমন কথা শোনা গেছিল তারপরও তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানে। ডঃ জন বলেছিলেন যে সেই অনুমানটি তখনকার পরিস্থিতির উপর সঠিক ছিল, কিন্তু তারপরে ওমিক্রন নামে একটি নতুন রূপ এসেছিল এবং পরিস্থিতি উল্টে যায়। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা এবং ওমিক্রনের মতো ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। যদি এই বৈকল্পিকগুলির একটি থেকে একটি নতুন প্রজাতি তৈরি হয়, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। এ রকম কিছু না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।