সম্প্রতি হায়দরাবাদে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। এতে সুলতানা নামক তরুণীর ভাই, যিনি সুলতানার স্বামী নাগরাজুকে হত্যা করেছিলেন, স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। ভিডিওতে দেখা যায় সুলতানা তার ভাইকে থামানোর চেষ্টা করে, কিন্তু হত্যাকারী তাকে ধাক্কা মেরে দূরে ফেলে দেয় এবং মাটিতে শুয়ে থাকা নাগরাজুকে আঘাত করতে থাকে। এই ভিডিওটি একটি টেরেস থেকে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, ৪ঠা মে হায়দ্রাবাদের সরুরনগরে। নাগারাজু নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তার মাঝখানে খুন করেছে তার শ্যালক। নাগারাজু এর কয়েক মাস আগে ৩১শে জানুয়ারি ২৩ বছর বয়সী সুলতানাকে (ওরফে পল্লবী) বিয়ে করেছিলেন। নাগরাজু অন্য ধর্মের ছিল, তাই সুলতানার পরিবারের সদস্যরা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সুলতানার দুই ভাইকে (সৈয়দ মবিন আহমেদ ও মোহাম্মদ মাসুদ আহমেদ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি সম্পর্কে নাগারাজুর এক আত্মীয় অভিযোগ করেছিলেন যে তারা দুজনেই (সুলতানা এবং নাগারাজু) তাদের কলেজ জীবন থেকেই একে অপরের সাথে প্রেম করছিলেন। দুই মাস আগে পুরনো শহরের আর্যসমাজ মন্দিরে বিয়ে হয় দুজনের। দুজনে যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের ছিল, তাই মেয়েটির পরিবার নাগরাজুকে হত্যা করে।
স্বামীর হত্যার পর কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার বর্ণনা দেন সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আমি খুনিদের কাছে আমার স্বামীর জীবন ভিক্ষা করতে থাকি। কিন্তু তারা আমার স্বামীকে ছুরি , রড দিয়ে আঘাত করতেই থাকে। চোখের সামনে আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে।’
তথ্য অনুযায়ী, মাসখানেক আগে সুলতানার ভাই নাগরাজুকে খোঁজার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এরপর গত ৪ঠা মে অভিযুক্তরা নাগারাজুকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে এবং সরুরনগরের পাঞ্জালা অনিল কুমার কলোনির মধ্যে নাগারাজুকে আটকায়। এরপর অভিযুক্তরা লোহার রড ও ছুরি দিয়ে নৃশংস ভাবে নাগরাজুকে হত্যা করে। নাগারাজু সেকেন্দ্রাবাদের মারেদপল্লীর বাসিন্দা ছিল এবং পুরানো শহরের মালাকপেটের একটি গাড়ির শোরুমে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কাজ করতেন।