চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করছে না ভারত! এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে এই প্রতিবেশী দেশ।
ভারতের মতন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশেও। এই পরিস্থিতিকে সামলাতে টিকাকরণে করতে উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ভারতের এই সংকটকালে ভারতের নিজের চাহিদা সামলে ভারত থেকে বাংলাদেশকে এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। তাতেই বিপাকে পড়েছে হাসিনা সরকার। এরপরেই টিকা সাপ্লাই নিয়ে অনিশ্চয়তার দুর করতে ভারত সরকারকে চিঠি লেখে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনই টিকা রপ্তানি করতে পারবে না ভারত, উত্তরে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণীলয়ের সচিব মাশফি বিনতে শামস এই ব্যাপারে বলেছে, ভারত বাংলাদেশকে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দেওয়ার কথা বহুবার বলেছে। কিন্তু সেই টিকা কবে পাব, তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানতে পারছি না। এদিকে বাংলাদেশে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ কবে পাবে বাংলাদেশ, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের সরকার।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করেছিলো অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশকে ৩ কোটি করোনা টিকা সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাদবাকি টিকা দ্রুত যাতে বাংলাদেশকে দেওয়া হয় তার জন্য ভারত সরকারের পদক্ষেপ চাপ দিচ্ছে হাসিনা প্রশাসনের। যাতে চুক্তি মোতাবেক সিরাম ইনস্টিটিউট টিকা দেয় সেই জন্যে মোদী প্রশাসনকে ব্যাবস্থা নিতেও অনুরোধ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আরও বলছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ টিকার চাহিদা মেটাতেই করতে অনেক দেরি করছে সিরাম।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে উপহার হিসাবে নিয়ে গিয়েছিলেন ১২ লাখ করোনা টিকার ডোজ। কিন্তু এরপরেই ক্রমশ খারাপের দিকে যায় ভারতের করোনা পরিস্থিতি। টিকার প্রয়োজন বেড়েছে ভারতেও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই টিকা রপ্তানীতে নিষেধাজ্ঞ আসার সম্ভবনা। আর এর ফলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বাংলাদেশের, আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলের।