ফলের রাজা হলো আম। স্বাদ ও গন্ধের জন্য সারা বিশ্বে এই ফল সমাদৃত। কিন্তু জানেন কি শুধু স্বাদ আর গন্ধেই নয়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আম দিতে পারে একাধিক রোগের থেকে সুরক্ষা।
জেনে নিন আমের সাস্থ্য উপকারিতা।
ইমিউনিটি বাড়াতে:
করোনা কালে আমরা সবাই খুঁজছি এমন উপায় যাতে করে শরীরের ইমিউনিটি বাড়তে পারে। কেন না ইমিউনিটিই একমাত্র উপায় যা আপনাকে এই অতিমারী তে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু জানেন কি আপনি যদি আম খেতে ভালোবাসেন বাড়বে আপনার শরীরের ইমিউনিটি। এর কারণ হল আমে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড। কি এই ক্যারোটিনয়েড। এটি হলুদ ফল বা সবজি তে উপস্থিত এমন একটি উপাদান যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও আমে রয়েছে ভিটামিন সি। যা আপনাকে যে কোনো ফ্লু থেকে দেবে সুরক্ষা।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে:
আম আঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় , পেট পরিষ্কার রাখে এবং নিয়ন্ত্রণ করে রক্তের কোলেস্টেরল ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে গ্লুকোজ কমাতে সাহায্য করে আম। যা উপকারি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। কাঁচা আম খেতে পারেন ওজন কমাতে চাইলে। কেননা শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে পাকা আমে। এছাড়া আম সাহায্য করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, হৃৎপিণ্ডের রোগের ঝুঁকি কমাতেও।
ক্যানসার প্রতিরোধে:
আম সহায়ক ক্যানসার প্রতিরোধেও। উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয় তা আমে রয়েছে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে:
আমে ভিটামিন এ রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। শুষ্কভাবও দূর করে চোখের চারপাশের। সাহায্য করে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে। আম খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস ।
রক্তাল্পতা কমাতে:
অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য আম ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আম বেশি উপকারী সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে।
কিন্তু উপকারি হলেও অতিরিক্ত আম খাবেন না। কারণ আমে আছে প্রচুর কলোরি, আর ফ্রুক্তজ। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়ার আগে নিজের ডায়েট চার্টটা দেখে নিন। একদিনে একটি পাকা আমের অর্ধেকটার বেশী খাওয়া উচিত নয়।