সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী লোকজনের কাছে প্রতিটি পুজোয় অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী হল চাল বা অক্ষত। যে কোনো শুভ অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, গৃহ প্রবেশ, অন্নপ্রাশন, পুজোয় অখণ্ড চালের ব্যবহারকে আশীর্বাদ লাভ ভীষণ কার্যকরী বলে মনে করা হয়। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানেই চাল তাই অপরিহার্য। শাস্ত্র মতে চাল ব্যবহার অনস্বীকার্য। অনেক সময় লাল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি নানা রঙে রাঙানো চাল ব্যবহার করা হয়। এগুলির মধ্যে হলুদ রঙের রঞ্জিত চালের সাহায্যে মা লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়, আর্থিক বাঁধা বিপত্তি কেটে যায়। সৌভাগ্য ফেরাতে কিভাবে ব্যাবহার করবেন হলুদ চাল জেনে নিন।
চাল হলুদ রঙের রাঙানোর জন্য রং হিসাবে ব্যাবহার করুন প্রাকৃতিক হলুদ। হলুদের মধ্যে মেশান অল্প জল , তার পর এই চালের মধ্যে ২১ দানা অখণ্ড চাল বা এক মুঠো চাল মেশান। এর পর হলুদ মেশানো চালকে ভালোভাবে হলুদে মাখিয়ে নিন এবং শুকিয়ে নিন। জ্যোতিষ মতে , হলুদ এর সাথে সম্পর্ক রয়েছে গুরু বৃহস্পতির। যদি কারো ভাগ্যে বৃহস্পতি সবল থাকে তবে তার বিবাহ, সন্তান, অর্থ ও জীবনের সব সুখ সমৃদ্ধি সব সময় বজায় থাকে। জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি থাকে। বৃহস্পতি গ্রহকে তুষ্ট রাখতে ও জীবনের নানান সমস্যায় সমাধানে হলুদের নানা রূপে ব্যাবহার করা যায়। আর বলাই বাহুল্য যার বৃহস্পতি তুঙ্গে সে লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি ধন্য। ভাগ্য লক্ষ্মী তার জীবনে অধিষ্ঠিত।
শাস্ত্রনুসারে দেব দেবী খুব আশীর্বাদ দেন যদি হলুদ চাল ব্যবহার করা হয় পুজোর কাজে। চাল হলুদ কোনও দেবী-দেবতাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য করা হয়। দেবতারা নিশ্চই আসবেন যদি হলুদ চাল দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আপনার পার্সে যদি হলুদ চাল রাখেন তাহলে মা লক্ষীদেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
স্নানের পর মহালক্ষ্মীর ছবির সামনে শুক্রবার বা একাদশীর দিনে এই চাল দিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে নিন। মনে করা কিছু দিনের মধ্যেই হয় এর ফলে আর্থিক লাভ হয় ও বাতিল হয়ে যায় বড়সড় লোকসানের সম্ভাবনাও।
পুজোর সময় প্রতিদিন আপনি ব্যবহার করুন হলুদ চাল এবং মন্দিরে বা কোনও অসহায় ব্যক্তিকে অবশিষ্ট চাল দান করে দিন। এই উপায় করলে প্রতি সোমবার শুভ ফল লাভ করতে শুরু করবেন।