Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

ইউক্রেনের তরুণীকে আশ্রয় দিল ব্রিটিশ পরিবার! ১০ দিনের মধ্যেই যা ঘটালেন তরুণী..

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের একটি তরুণী কে আশ্রয় দিয়েছিলেন স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তানের একটি পরিবার। ওই তরুণী সেই বাড়িতে ১০ দিন অবস্থান করেছিলেন। আর এই ১০ দিনের মধ্যেই গৃহকর্তা এমন কাজ করে বসেন যে কারণে এই ঘটনা শিরোনামে। জানা গেছে ওই বাড়ির গৃহকর্তা এই কয়েকদিনের মধ্যেই স্ত্রীর সাথে পুরনো সম্পর্ক ভেঙে মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এখন মেয়েটি বলেছে যে তার কারণে তার বাবা-মা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

২২ বছর বয়সী সোফিয়া প্রথম চর্চিত হন যখন ২৮ বছর বয়সী লর্না গারনেট তার স্বামী টনিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনেন তার বিরুদ্ধে। আসলে, লোর্না এবং টনি তাদের বাড়িতে সোফিয়াকে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু তার আগমনের মাত্র ১০ দিন পর, টনি তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে রেখে, সোফিয়াকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

এদিকে দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, t সোফিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, তিনি কারও বাড়ি ভাঙেননি। তিনি আরও বলেছেন যে তার কারণে তার বাবা-মা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

সোফিয়া জানিয়েছে যে, “আমার মা-বাবা বলেছে তাদের লজ্জিত হতে হয়েছে আর আমার কারণে তারা ঘর থেকে বের হতেও পারছে না। তারা বলছে, আমার কারণে ব্রিটেনের জনগণ আর কোনো ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দেবে না। পরিবারের সবাই ভাববে আমরা যদি কাউকে আশ্রয় দেই, তাহলে তারা আমাদের স্বামীকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে।”

সোফিয়া জোর দিয়ে বলেন যে টনি এবং তার মধ্যে প্রথম দিকে সেইভাবে কিছুই ঘটেনি। সে টনির স্ত্রী লর্নাকেই এই জন্য দায়ী করেছেন। সোফিয়া বলল- লরনার ক্রমাগত সন্দেহ আর টেনশনের কারণেই টনি আর আমার ঘনিষ্ঠতা।

সোফিয়া আরও বলেন- বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল আমার একার, আমি বেরিয়ে আসার সময় টনিও আমার সঙ্গে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

আসলে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে, সোফিয়াকে তার বাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়াই তার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এর পরে, তিনি এপ্রিল মাসে স্পনসরদের জন্য একটি আবেদন পোস্ট করেছিলেন। টনি জানান যে তিনি সোফিয়ার আবেদনটি দেখেছেন। তিনি সোফিয়ার বিষয়ে জানলেও আবেদনের প্রসেসিং এর ধীরগতিতে অবাক হন। এরপর ফেসবুকে দুজনের মধ্যে কথা বলা শুরু হয়। সবকিছু ঠিক হওয়ার পরে, সোফিয়া গত ৪ঠা মে ম্যানচেস্টারে পৌঁছায়, যেখানে টনি তাকে নিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

টনি এবং তার সম্পর্কের বিষয়ে, সোফিয়া জানা যে তিনি কেবল চেয়েছিলেন যে কেউ তার সাথে কথা বলুক। তবে তিনি বলেন যে লোর্না এই নিয়ে প্রশ্ন করত কেন টনি প্রতিদিন রাতে টিভি দেখার সময় আমার সাথে সময় কাটাচ্ছেন।

টনিকে যখন ‘এই ত্রিকোণ প্রেমের’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন যে তিনি সোফিয়ার জন্য তার অভ্যন্তরীণ অনুভূতিকে ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন যে এটি ছিল ‘প্রথম দর্শনেই প্রেম’। টনি নিজের সাফাই দিয়ে বলেন প্রেম ভেবেচিন্তে করা হয়নি।

Related posts

করোনা পরীক্ষা বাড়াতেই বাড়লো দেশের সংক্রমণের গ্রাফ, কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা

News Desk

আপন মাসির সাথে বিয়ে, নিজের মার জামাইবাবু হয়ে গেলেন ছেলে! যুবকের কাণ্ডে শোরগোল!

News Desk

ওমিক্রনের উপপ্রজাতি ওমিক্রনের থেকেও ভয়াবহ? সতর্কবার্তা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

News Desk