স্বামী এক হলে আর স্ত্রী দুজন হলে ঝগড়া হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমনই কিছু ঘটেছে বিহারের জামুইয়ে। যেখানে এক পুরুষের দুই স্ত্রীর মধ্যে তুমুল মারামারি ও হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি জামুইয়ের মহিসৌরি এলাকার। যেখানে দুই নারীর সংঘর্ষ ও হাইভোল্টেজ নাটক ঘিরে দীর্ঘক্ষণ চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বিহারের জামুই নিবাসী ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশে তার বাড়িতে ফেরার পর তার দুই স্ত্রীই শ্বশুর বাড়িতে উপস্থিত হয়, এরপর দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পুলিশ হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও দুজনেই একে অপরকে বেধড়ক মারধর করে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল নিবাসী এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করতে বিহারের জামুই পৌঁছেছিল পুলিশ। আসানসোল পুলিশ জামুই পুলিশের সহায়তায় মহিলার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছয়।
ওই ব্যক্তির উভয় স্ত্রীই বিহার ও বাংলা পুলিশের সামনে লড়াই করতে থাকে এবং এ সময় লাথি-ঘুষিও চলে। আশেপাশে বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়ে তাদের মুক্ত করার পরিবর্তে সেই দৃশ্য দেখতে থাকে। দুজনেই একে অপরের দিকে স্লিপার ছুড়ে মারে। দীর্ঘক্ষণ সেখানে হৈচৈ পড়ে যায়।
তথ্যমতে, মহিষৌধীর বাসিন্দা আসগর নামে এক ব্যক্তির দুই স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী নাসরিন পারভীন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী নেহা পারভীন। আসগর প্রথম বিয়ে করেন নাসরিন পারভীনকে, যার সাথে তার ২ সন্তান রয়েছে।বিয়ের কয়েক বছর পর নেহা পারভীনকে বিয়ে করেন আসগর। বলা হচ্ছে আসানসোলে আসগর ও নেহার দেখা হয়েছিল। নেহার সাথে বিয়ের পর কিছু দিন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল এবং এই সময়ে আসগর চাকরির জন্য বিদেশে চলে যায়।
আসগর বিদেশ যাওয়ার সাথে সাথেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী নেহা পারভীন আসানসোলে তার মাতৃ গৃহে চলে যান। অন্যদিকে, আসগর বিদেশ থেকে ফিরে আসার খবরে নেহা পারভীন রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল পুলিশ ও জামুই পুলিশের সঙ্গে আসগরের বাড়িতে পৌঁছান।
পুলিশ বাড়িতে পৌঁছতেই দুই মহিলার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এবং পরিস্থিতি মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফিরেছে বেঙ্গল পুলিশ। এ বিষয়ে জামুইয়ের ডিএসপি ডক্টর রাকেশ কুমার বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তিনি আরো জানান পশ্চিম বঙ্গের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বেঙ্গল পুলিশ এখানে এসে তদন্ত করতে আসগরের বাড়িতে গিয়েছিল। এ সময় তার দুই স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। যেহেতু বেঙ্গল পুলিশের কাছে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল না, তাই তারা ফিরে যান।