রাজস্থানের উদয়পুরে দুই সমকামী তরুণী একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই দুই তরুণীকে নিয়ে এখন পুলিশ পৌঁছেছে আদালতে। রাজস্থানে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আসলে কি হয়েছিল। জানুন!
মঙ্গলবার দুই তরুণীকে নিয়ে উদয়পুর আদালতে পেশ করে ঝাদোল থানার পুলিশ। তথ্য অনুযায়ী, দুই মেয়েই আজমিরের নাসিরাবাদের বাসিন্দা এবং প্রায় আড়াই মাস ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। দুজনেই প্রায় ৩ বছরের বন্ধু। তিন বছরের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। এরপর দুজনেই একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। লিভ-ইন সম্পর্কের নথি আদালতে পেশ করার কথাও বলেছেন ওই দুই তরুণী। তবে মেয়ে দুটির পরিবার দু’জনকেই বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু এই দুইজনই নিজেদের সমকামী সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড়।
আদালতে শুনানির সময় ওই দুইজন সমকামী তরুণী জানান, সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হয়েছিল। তাদের জবানি তে বলতে গেলে ‘তারপর থেকে আমরা টানা ৩ বছর ধরে ভালো বন্ধু। এরপর ধীরে ধীরে দুজনেই একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করে দেই।’ তারা আরও বলে, সমাজ কখনই তাদের সমকামী সম্পর্ক মেনে নেবে না, তাই দুজনে একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দুজনেরই বয়স ২১ ও ২২ বছর বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে দুই কিশোরীর পালানোর কথা বুঝতে পারা মাত্রই আদালতে পৌঁছায় দুজনের পরিবার। পরিবারের লোকজন মেয়েদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা কারো কথা শোনেনি।
আড়াই মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন
আজমিরে বসবাসকারী দুই তরুণী। হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে মেয়েদের নিখোঁজ রিপোর্টও দায়ের করেন। এরপর পুলিশি তদন্তে তথ্য বেরিয়ে আসে যে, দুই মেয়েই প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ইচ্ছায় পালিয়েছে। বর্তমানে মেয়েদের নারী নিকেতনে রাখা হয়েছে। বুধবার ফের এই বিষয়ে শুনানি হবে।