গত দু’মাসে বারাণসীর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অন্তত দু’জন রোগীর সন্ধান পেয়েছেন, যাঁরা এইচআইভি পজিটিভ। শরীরে উল্কি (ট্যাটু) করার পরেই তাঁরা এডস আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বারাণসীর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন, জেলা হাসপাতালে দু’জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাঁরা দু’জনেই দাবি করেছেন, অসুরক্ষিত যৌনতা বা সংক্রমিত রক্ত সংবহনের ঘটনার কারণে এমনটা ঘটেনি। তবে তাঁরা দু’জনেই শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, বারাণসীর বরাগাঁওয়ের বাসিন্দা ২০ বছরের এক যুবক গ্রামের মেলায় হাতে ট্যাটু করিয়েছিলেন। কয়েক মাস পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। জ্বর আর কমেনি। সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করার পর কোনও রোগের সন্ধান না পেয়ে তাঁর এইআইভি পরীক্ষা হয়। দেখা যায় তিনি এইচআইভি পজিটিভ। কিন্তু সংক্রমিত রক্ত সংবহন বা অসুরক্ষিত যৌনতা— কোনওটাই ঘটেনি তাঁর সঙ্গে। তা হলে? শেষে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, হাতের ট্যাটুর মাধ্যমেই শরীরে ঢুকেছে এডস ভাইরাস।
প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে বারাণসীরই এক তরুণীর সঙ্গেও। তিনিও ট্যাটু করিয়েছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পরে ওই তরুণীরও এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের সন্দেহ, এমন ঘটনা আরও ঘটেছে। কারণ, একই ব্যক্তির কাছ থেকে উল্কি করিয়েছেন আরও অনেকে। একটি সূত্রের দাবি, ওই দু’জন ছাড়া আরও অন্তত ১২ জনের একই উপসর্গ রয়েছে। তারাও ওই ব্যক্তির কাছ থেকেই উল্কি করিয়েছিলেন।
তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকে এক জনের কাছ থেকেই উল্কি করিয়েছিলেন। ওই উল্কিওয়ালা সকলের জন্য একটি সুচই ব্যবহার করেছিলেন। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের চিকিৎসক প্রীতি অগ্রবালের মতে, উল্কি করার সুচ অত্যন্ত দামি। তাই খরচ বাঁচাতে তিনি একটি সুচ ব্যবহার করেই সকলের উল্কি করেছিলেন। প্রীতির পরামর্শ, উল্কি করার আগে অবশ্যই দেখে নিতে হবে, সুচটি নতুন কি না।