হোটেলের শৌচাগারের ভেন্টিলেটরে ক্যামেরা মোবাইল রেখে দম্পতির ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও করার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। অভিযোগকারী দম্পতি এবং ধৃতরা প্রত্যেকেই হাওড়ার বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) একটি হোটেলে। পুলিশকে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের গোপন ভিডিও ও ছবি তুলতে নাকি সাহায্য করেছে মালদহ শহরের কৃষ্ণকালীতলা এলাকার ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের একাংশ। যদিও হোটেলের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি হোটেল রুম ভাড়া একেবারেই নিরাপদ নয়? ঠিক কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন হাওড়ার ওই দম্পতি। বরযাত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। ধৃত দু’জনের বাড়িও হাওড়ায়। ওই দম্পতি ইংলিশবাজার থানায় ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কনেপক্ষ মালদহ শহরেই। বরপক্ষ হাওড়ার। বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ওই হোটেলের পাশাপাশি দু’টি রুমে (৩০৮ ও ৩০৯) উঠেছিলেন। রাত একটা নাগাদ দম্পতি শৌচাগারে যান। কিছুক্ষণ পর মহিলার স্বামী দেখতে পান, শৌচাগারের ভেন্টিলেটরে রাখা ক্যামেরা মোবাইল থেকে তাঁদের ভিডিও ও ছবি তোলা হচ্ছে।
বিষয়টি হাতেনাতে ধরতেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হইচই পড়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই যুবক ও হোটেলের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর হাওড়ার দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, হোটেল কর্তৃপক্ষের মদত ছাড়া রুমের বাথরুমে ক্যামেরা মোবাইল রাখা সম্ভব নয়। পুলিশের কাছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তুলেছেন তিনি।