ভ্রমণের জন্য আমরা কত কি যান বাহন ভাড়া করি। চার চাকা, বাস ইত্যাদি। কিন্তু ঘুরে বেড়াতে আস্ত ট্রেন ভাড়া!!! এমনটাও সম্ভব? হ্যা সম্ভব। এমনটাই জানালেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
যদিও ট্রেনের ভাড়া পাওয়া যাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এর জন্য রেলের কাছে জমা রাখতে হবে নির্দিষ্ট অঙ্কের সিকিউরিটি ডিপোজিট। পুরো এক কোটি টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট হাতে দিলেই একটা গোটা ট্রেন ভাড়া নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন আপনি। রেক প্রতি এই পরিমাণ টাকা রেলের কাছে দিতে হবে। সাথে অবশ্যই রয়েছে আরও কিছু শর্ত।
তবে যে কোনো ট্রেন নয়। যে ট্রেন ভাড়া দেওয়া হবে সেই ট্রেনের নাম ‘ভারত গৌরব ট্রেন’। ভারতীয় রেল ১৮০টি নতুন ‘ভারত গৌরব ট্রেন’ চালাবে। নানা পর্যটনস্থলে অনেকটা বাস ট্যুরের মতই ঘোরা যাবে এই ট্রেনে। হাওড়া, শিয়ালদহ এবং এই রাজ্যের আরো বেশ কিছু জায়গা থেকে চালানো যাবে এই ট্রেন। যাবতীয় পরিকাঠামো থেকে রেল ভাড়ার বিষয়ক চুক্তির পদ্ধতি সমগ্র পদ্ধতি সব কিছুই শীঘ্রই জানিয়ে দেবে রেল। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা এই ‘ভারত গৌরব ট্রেন’ এর পরিষেবা থেকে চুক্তি সব বিষয়ে জানাবেন দ্রুত।
এই ট্রেনটি টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেওয়া যাবে ব্যক্তিগতভাবেও। ভ্রমণের উদ্দেশ্যে এই ট্রেনের ভাড়া নিতে পারে কোনো পর্যটন সংস্থাও। আবেদন করতে পারে কর্পোরেট সংস্থাও। এমনকী, দু’বছর থেকে দশ বছরের সময়কালের চুক্তিতেও ভাড়া নেওয়া যাবে ট্রেন। যে আগে পাবে সে আগে ভাড়া পাবে, এই ভিত্তিতে এই ভারত গৌরব রেল ভাড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। শুরুতে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এর পাশাপাশি রেলের রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মীদের বেতন-সহ আরো নানা খরচ খরচার জন্য রেক প্রতি দিতে হবে এক কোটি টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে।
তবে রেল কোচ ভাড়া নেওয়ার জন্য মোট কত টাকা ব্যয় হবে তা নির্ভর করবে কত বছরের জন্য চুক্তি, ট্রেন যাত্রার দূরত্ব, রুটের গুরুত্ব ইত্যাদির নানা বিষয়ের উপরে। ট্রেনগুলি হবে ১৪ থেকে ২০ কোচের। ট্রেনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে ভাড়া নেওয়া সংস্থা। অপারেশনের দায়িত্ব থাকবে রেলের হাতে। তবে ভ্রমণের জন্য যাত্রী সংগ্রহ এর দায়িত্ত্ব বর্তাবে যারা ট্রেনটি ভাড়া নেবে তাদের উপরেও। পর্যটনের উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে ট্রেনগুলি। নিয়মিত যাত্রী রুটে এই ট্রেন চালানো যাবে না।