এখন থেকে তামাকজাত দ্রব্যাদি বিক্রি করতে হলে উত্তরপ্রদেশে লাইসেন্স আবশ্যিক। এমনই নির্দেশিকা জারি করল যোগী সরকার। তামাকজাত দ্রব্যের সেবন করলে মানুষের শরীরে যে সমস্যা তৈরি হয় তা কমাতে এবং তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যে নিয়ম-নীতি রয়েছে তা যাতে পালন করা হয় তাই এই পদক্ষেপ।
উওরপ্রদেশের সরকারি এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আবশ্যিক করতে বলে সমস্ত রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। কেন্দ্রিয় মন্ত্রকের সেই সুপারিশ অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে চালু করা হয়েছে এই ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের একটি সার্ভেতে দেখা গেছে , উত্তরপ্রদেশে ৩৫.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক সকল মানুষই কোনও না কোনও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন।
তামাকজাত দ্রব্যের কারণে যে মানুষের শরীরে যে রোগ ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খরচ হয় ১৮২ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা দেশের GDP-র ১.৮ শতাংশ। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে হলে লাইসেন্স অত্যাবশ্যকীয় বলে ঘোষণা করেছে উওর প্রদেশের সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সব দোকানদার বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য যেমন বিড়ি , সিগারেট , খৈনি , গুটখা ইত্যাদি জিনিন বিক্রি করবেন, তাঁরা আর আগের মতন টফি, চকোলেট, চিপস, বিস্কুট বা কোল্ডড্রিঙ্কের মতো জিনিস বিক্রি করতে পারবেন না। কেনোনা এই সমস্ত জিনিস বাচ্চারাও কিনে থাকে, তাই টফি কিনতে গিয়ে শিশুরা যাতে তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি কোনোভাবেই আকৃষ্ট হয়ে না যায় তার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।