সাইজে ছোট টাইট জিন্স পরে ডেটে গিয়ে প্রায় জীবন ‘হারাতে হারাতে’ বাঁচলেন এক তরুণী। জিন্সের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ টানা হাসপাতালের আইসিইউ-তে কাটাতে হল তাঁকে। যমে মানুষে টানাটানি হল তাকে নিয়ে। নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি ওই তরুণীর অভিজ্ঞতা শুনলে এবার থেকে আপনিও চাপা জিন্স প্যান্ট পরার আগে দুবার ভাববেন।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগের ঘটনা। সম্প্রতিই সেই অভিজ্ঞতা টিকটকে প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনে সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন স্যাম নামের ওই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন ডেটে যাওয়ার সময় আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য ভীষণই চাপা আর অতিরিক্ত ছোট মাপের একটি জিন্স পরে গেছিলেন তিনি। ডেট চলাকালীন প্রায় আট ঘণ্টা ঘরে ওই ভীষণ টাইট জিন্স পরে থাকার কারণে তাঁর নিতম্বে প্রচণ্ড চাপ পড়ে ঘা এর মতো হয়ে গিয়েছিল। ভীষণ কষ্ট হলেও কোনো রকমে সহ্য করে নিয়েছিলেন। কোনো রকমে বাড়িতে ফেরার পরই নিতম্বে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। যা কিছু দিনের মধ্যেই সেপসিসের আকার নেয়। ওই তরুণী আরো জানান, ‘‘ভীষণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দেখে আমার মা-ই আমায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদি সঠিক সময় না নিয়ে গেলে আমি হয়তো মরেই যেতাম।’’ শেষমেশ একটি সার্জারির মাধ্যমে ওই তরুণীকে সুস্থ করে তোলেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু এই সবের শুরু কোথা থেকে? আসলে বাজারে বেশ কম দামেই পাওয়া যাচ্ছিল ওই শর্ট চাপা জিন্স। দেখা মাত্রই মনে ধরেছিল স্যামের। এর আগে এত খোলামেলা শরীরী আবেদন দেখাতে সক্ষম এরম টাইট শর্ট জিন্স পরার অভিজ্ঞতা ছিল না তার। জিন্স দেখেই ঠিক করে ফেলেছিলেন, যে এর পরের ডেটে যাবেন ওই শর্ট জিন্স পরে। ডেটে নিজের সঙ্গীর সাথে দেখা করতে গিয়ে লাঞ্চ সারা, পড়ে কমেডি শো এর অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে ডেট বেশ ভাল ভাবেই কেটেছিল তাঁর। কিন্তু বাদ সাধলো তার সখের জিন্স। ডেট থেকে ফেরার পরের কয়েক দিন তাঁর সঙ্গে যা হয়েছিল, তা ভেবে আজও ভয়ভীত হন স্যাম। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি জানান, ‘‘ওই অভিজ্ঞতার পর থেকে ছোট জিন্স পরাই ছেড়়ে দিয়েছি।’’