আমাদের দেশে নানা ধরনের মন্দিরের অভাব নেই। রয়েছেন প্রচুর উপাস্য দেবতাও। এবং হিন্দু রীতি অনুযায়ী প্রতিটি উপাস্য ঠাকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভোগ চরানোরও ব্যাবস্থা রয়েছে।
কিন্তু কখনো শুনেছেন যে ঠাকুরকে ভোগ হিসাবে দেওয়া হয় চকলেট? হ্যা সত্যিই হয় এমনটা। দক্ষিণ ভারতের কেরলে একটি মন্দিরে এমনই রীতির প্রচলন রয়েছে। সেই মন্দিরে ঠাকুর কে চকোলেট ভোগ চরানো হয়। সাধারনত বিভিন্ন মন্দিরে আমরা দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে তাকে ফল-মিষ্টি অর্পণ করি। কিন্তু এই মন্দির অনন্য। এখানে দেবতা কে অর্পণ করা হয় চকোলেট।
কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত ভোগ অর্পণের রীতি রয়েছে সেখানে?
কেরোলের ঠেক্কান পালানি (Thekkan Palani) নামক জায়গায় বালা সুব্রামুনিয়ামের মন্দিরটি বিখ্যাত এই চকোলেট ভোগের কারণেই (Subramanian Temple)। বালমুরুগনের রয়েছে একটি সন্তান যার নাম লর্ড মুরুগা। তিনি শিশু অবস্থায় নাকি চকলেট খেতে পছন্দ করেন।
যে অঞ্চলে এই মন্দির রয়েছে সেখানকার দেবতাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় মাঞ্চ মুরুগান।
বলা হয় এই মন্দিরের উপাস্য দেবতা রয়েছে একটি নাকি একটি সন্তান যাকে স্থানীয় নাম লর্ড মুরুগা। লর্ড মুরুগা শিশু অবস্থায় চকলেট খেতে ভালোবাসেন।
সেই থেকে কেরলের এই মন্দিরে চকোলেট অর্পণের রেওয়াজ শুরু করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি। এই স্থানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন ব্যক্তি এসে দেবতার উদ্দেশ্যে চকোলেট নিবেদন। বহু আগে শিশুরাই শুধু দেবতাকে চকলেট দান করতে পারতো। তবে বর্তমান সময়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই প্রথা পালন করতে পারেন। তারা মনে করেন এর দ্বারা দেবতা সন্তুষ্ট হন।