বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী : অন্যান্য পড়ুয়ারা লক্ষ্য করে যে কলেজে হোস্টেলে ওই মেয়েটির ঘরের ভিতর থেকে তালা বন্ধ করা। তারপর তারা হোস্টেল কর্তৃপক্ষ কে এই ব্যাপারটা জানায় । এরপর তারা দরজা ভেঙে ওই হোস্টেলের ঘরে ঢুকে দেখে যে ওই ছাত্রীর দেহ ঝুলছে। হোস্টেল থেকে কলেজে গিয়ে পড়াশুনো করতে চায়নি ছাত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে । বলা যায় ওই ছাত্রীর অমতেই তার বাবা মা তাকে অফলাইন ক্লাসে যেতে বাধ্য করেছিল। করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় ধীরে ধীরে স্কুল কলেজ খুলছে প্রায় সবে রাজ্যেই। অনেক পড়ুয়ারই গত দুবছরে স্কুলে না গিয়ে এই দীর্ঘ সময় অনলাইন ক্লাস করে স্কুল কলেজ যাওয়ার প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ , এমন ইচ্ছার বিরুদ্ধচারণ হওয়ায় সেই জন্যই ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
জানা গিয়েছে ভিজিয়ানগরমের নেলিমারলার বাসিন্দা কোন্ডাপল্লী মানেশা অঞ্জু নামের ওই ছাত্রী। সে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন আইআইটি-শ্রীকাকুলামের। সে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছিল শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে। এবার করোনা কমতে শুরু করায়, পড়ুয়াদের কলেজের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে তারা অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যেতে পারে বা অফলাইনে ক্লাসে আসা শুরু করতে পারে।
অনলাইন ক্লাস মেয়েটি চালিয়ে যেতে চাওয়া সত্ত্বেও, তার বাবা-মা জোর দিয়েছিলেন যে সে অফলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ায় এবং আইআইআইটি-শ্রীকাকুলামে নিয়ে আসে তাকে। বাসেই মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলে দেয় মেয়েটি বাবা-মায়ের উপর রেগে গিয়ে। পরের দিন তাকে তার বাবা-মা একটি নতুন ফোন কিনে দেন। এরপরেই বুধবার, তার হোস্টেলের ঘর ভিতর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পায় কিছু মেয়ে এবং কর্তৃপক্ষকে তা জানায়।
এর পর দরজা ভাঙা হয় ওই ঘরের। সেখানে ঘরে ঢুকে মেয়েটির মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে দেখা যায়। ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ১৭৪ (সন্দেহজনক মৃত্যু) এর অধীনে ঘটনার জন্য একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, বলেছেন ইচেরলার সাব-ইন্সপেক্টর কে রামু।