এসে গেছে বাঙালির জীবনের সেই বিশেষ সময় যখন বাঙালি মাত্রই সব ভুলে মেতে ওঠে মা দুর্গার আরাধনায়। পুজোর সময় অনেকেই রেস্তরাঁর খাবার খেতে ভীষণ পছন্দ করেন। রাত জেগে এই প্যান্ডেল থেকে ওই প্যান্ডেল, সাথে পেট পুজো। কিন্তু চারদিকে এই উৎসবের আমেজের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে করোনা কিন্তু এখনও বিদায় নেয় নি। যতই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ পড়ুক চিকিৎসকরা বার বার সাবধান করছেন এখনও মাস্ক, স্যানিটাইজারকে বিদায় জানানোর সময় আসেনি। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে। তবে পুজো পরিক্রমায় মাস্ক পরে চলা সম্ভব হলেও কোনো রেস্তোরায় খেতে ঢুকে সেটা কিভাবে সম্ভব! মাস্ক পরে তো আর খাওয়া যায় না। এদিকে রেস্তোরা যদি বাতানুকুল হয় সেই ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা অনেকটাই বেশী। তাহলে উপায়?
করোনা আবহে এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে কলকাতারই এক রেস্তোরাঁ। যেখানে মুখে মাস্ক পরেই দিব্য সব দুর্দান্ত সব ডিশ উপভোগ করছেন ভোজন রসিকরা। সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এমনই এক অভিনব রেস্তোরাঁর খোঁজ তিলোত্তমার বুকে। যেখানে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার সচেতনতা বার্তা দিয়ে মাস্ক পরেই খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিশ্চয়ই শুনে ভাবছেন, এমনটা আবার সম্ভব কীভাবে? আসলে করোনা অবহের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে মাস্ক। যাতে একবার মাস্কটি মুখে পরে খাবার খাওয়ার আগে আর খুলতে না হয়। এই বিশেষ ভাবে তৈরী মাস্কের উপর রয়েছে চেনের ব্যাবস্থা। চেন খুলে দিব্যি খাবার খেতে পারবেন। তাই রেস্তোরাঁয় অনায়াসে এই মাস্ক পরেই ইচ্ছে মতো খাবার খান এবং হাঁচি বা কাশি আসলে সংক্রমন না ছড়াতে চেনটি টেনে দিন। পুজোয় পেটপুজোর খোঁজে বেরোনো মানুষজনকে সচেতন করতে এমনই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল দক্ষিণ কলকাতার চাইনিজ রেস্তরাঁ ‘ওকিস’ (Wok’ies)। চতুর্থীর দিন ১৫ ফুট লম্বা একটি বিশাল আকারের মাস্ক তৈরি করে এই বিশেষ পদ্ধতির সূচনা করেছেন রেস্তরাঁর কর্ণধার সৌম্যশ্রী সেনগুপ্ত। রেস্তরাঁর মূল দরজায় বিরাট মাস্ক টাঙিয়ে সেই বার্তাই এই রেস্তোরাঁ দিচ্ছে।
এক বাংলা সংবাদ মাধ্যম কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌম্যশ্রী সেনগুপ্ত জানায়, “পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে তো মানুষ পেটপুজো করবেনই। কিন্তু খেতে এলে সেই সময় আমাদের মাস্ক খুলতেই হয়। আমরা শুধু সচেতনতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি যে মাস্ক না নামিয়েও খাওয়া যায়। শুধু চেনটা খুললেই হবে। মাস্ক পরেই আপনারা খেতে পারবেন।