দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তখনই তৈরী হয় যখন দুজনের মধ্যে বিশ্বাস আর আস্থা বাড়তে থাকে। এই কারণেই যখন অনেক সম্পর্কে বিশ্বাস আর আস্থার জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে যায় সেই সম্পর্ক আর টেকেনা বা তারা অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়ে পরে। অনেকে আবার সঙ্গীকে ধোঁকা দেন বা প্রতারণা করেন অন্য আসক্তির কারণে। বিজ্ঞানীর এই কারণে এমন এক ওষুধ তৈরী করেছেন যা এমন মানুষদের প্রতারণা করতে দেবেন না।
দ্য সান ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম অফ দ্য এন্ডোক্রাইন সোসাইটিতে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে হাইপারসেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার রয়েছে পুরুষদের। এটি ঘটে, অক্সিটোসিন হরমোনের পরিমাণ বেশি তাদের শরীরে থাকার কারণে। প্রেমের হরমোনও বলা হয় অক্সিটোসিনকে। পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে এগুলি পাওয়া যায় এবং ইতিবাচক আবেগ তৈরি করতে সহায়তা করে।
গবেষণায়, যাদের হাইপারসেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারের সমস্যা ছিল এমন ৬৪ জন পুরুষকে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যখন ৩৮ জন পুরুষকে পরীক্ষা করা হয়েছিল যাদের যৌন আগ্রহ জাগিয়ে হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা ছিল। গবেষণায় বলা হয়েছে, অক্সিটোসিনের উচ্চ পরিমাণের কারণে, শুধুমাত্র অন্যদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জন্য লোকেরা তাদের সঙ্গীকে প্রতারণা করে। তিনি বলেন, সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে অক্সিটোসিন এবং যৌন উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে। এই কারণে, এই দিকে কাজ করা বিজ্ঞানীদের একটি ভাল বিকল্প রয়েছে অক্সিটোসিক হ্রাসকারী ওষুধের উপর কাজ করার জন্য। তিনি বলেন, যাতে পুরুষরা প্রতারণা না করে এমন ওষুধ তৈরি করা যেতে পারে যার মাধ্যমে শরীরে অক্সিটোসিনের পরিমাণ কমানো যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই থেরাপির মাধ্যমে গিয়েছেন যে পুরুষরা তাদের অক্সিটোসিন এবং হাইপারসেক্সুয়াল ডিসঅর্ডারের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। এর মাধ্যমে আরও বলা হয়েছে যে শরীরে অক্সিটোসিনের মাত্রা কমানো যায় ওষুধ ছাড়াও। যৌন আসক্তিকে মানসিক ব্যাধি বলে মনে করে না আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন । কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইপারসেক্সুয়াল আচরণকে রোগের আন্তর্জাতিক শ্রেণীবিভাগে তালিকাভুক্ত করেছে।
