আবার ওমিক্রণ আক্রান্তের খোঁজ মিলল। কিন্তু এবারে ঘটনায় চিন্তার কারণ আছে। কেননা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যেই যুবক সেই যুবক করোনার দুটো টিকাই নিয়েছিলেন এবং শুধু তাই নয় পরবর্তীতে বুস্টার ডোজও নিয়েছেন, কিন্তু এই তিনটি করোনা টিকা নিয়েও তিনি ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকা ফেরত ওই ব্যক্তির ব্যাপারে বৃহ মুম্বাই পুরসভা কর্তৃপক্ষ (বিএমসি) জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপের সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে জিন বিন্যাসের পরীক্ষা করে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্ততে বিএমসি-র তরফে জানানো হয়েছে নভেম্বরের গোড়ায় ২৯ বছরের ওই যুবক নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না করোনাভাইরাস সংক্রমণের। বিমানবন্দরে তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত জানতে পারেন নিয়ম মাফিক পরীক্ষায়। ফলে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। তাঁর জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্সের পরীক্ষা হয়েছিল এর পরে। তাতেই দেখা যায় করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রণে আক্রান্ত তিনি।
ফাইজারের দু’টি টিকা নেওয়ার পরেও ওই যুবক বুস্টারডোজ নিয়েছিলেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বলে বিএমসি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে। আরটিপিসিআর পরীক্ষা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা দুই ব্যক্তির করানো হলেও তাঁদের দেহে খোঁজ মেলেনি ওই ভাইরাসের।
প্রসঙ্গত চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। মুম্বইয়ের একটি স্কুলে একসাথে ১৮ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমিত পড়ুয়ার খোঁজ মিলল। মহারাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে মেলা খবর অনুযায়ী, গত ১৩ ডিসেম্বর ওই স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়ায় কোভিড টেস্ট করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৭ জনের কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট মেলে। এর পর সেই বিদ্যালয়ের আরো ৬৫০ জন পড়ুয়ার কোভিড টেস্ট করানো হয়, সংক্রমণ ধরা পড়ে আরও ১১ জনের। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯০২ জন। এঁদের মধ্যে ৮ জনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের ওমিক্রন স্ট্রেনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।