চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো হাওড়ার (Howrah) লিলুয়ার যুবক খুনের ঘটনায়। বিবাহ বহির্ভুত স্থানীয় এক মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে খুন হতে হয় বুদ্ধেশ্বর সাউ কে , এমনটাই খবর। এখনো পর্যন্ত মোট তিনজন কে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে ধৃতদের পেশ করা হয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের খবর ।
বুদ্ধেশ্বর সাউ হাওড়ার লিলুয়ার (Liluah) দাসপাড়ার বাসিন্দা। বাড়িতে একাই ছিলেন বুদ্ধেশ্বর গত বুধবার রাতে। স্ত্রী বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে একটি অডিও মেসেজ পাঠান বুদ্ধেশ্বর ওইদিন রাতে। সেখানে বলেন, “মেরা জান খতরে মে হ্যায়।” এরপর যোগাযোগ করা যায়নি আর তাঁর সঙ্গে। বুদ্ধেশ্বরের স্ত্রী পুলিশের দ্বারস্থ হয় স্বামীর খোঁজ না পাওয়ায়। লিলুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় তিনদিন আগে। পুলিশ জানতে পারে খোঁজ শুরু করে যে গাড়ি করে বুদ্ধেশ্বরকে উঠিয়ে নিয়ে গেছিল বিশ্বনাথ সাউ ও তার দুই আত্মীয় পঙ্কজ ও সুনীল সাউ। তাদের হাওড়ার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপরই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, গাড়িতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বুদ্ধেশ্বরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে। এরপরঝাড়খণ্ডে তোপচাচিতে নির্জন এলাকায় দেহ ফেলে দেওয়া হয় । ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয় দেহ সেখান থেকে। পুলিশের দাবি, ধৃতরা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু কেন এই খুন? নেপথ্যে পরকীয়ার তত্ত্ব উঠে এসেছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বিশ্বনাথ সাউয়ের স্ত্রীর সঙ্গে। দুই পরিবারে অশান্তি শুরু হয় তা জানাজানি হওয়ার পরই । সেই কারণেই বাপের বাড়িতে বুদ্বেশরবাবুর স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বুদ্ধেশ্বরকে পরকীয়ার কারণেই খুন করা হয়েছে। তবে এমনটা হবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পরিণতি, তা ভাবতেও পারেননি মৃতের স্ত্রী।