রাতের ঘুম তার পুরো হয়নি। তাই ট্রেন চালাতেই গেলেন না চালক! ফলে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গন্ত্যবের উদ্দেশ্যে যাত্রার অপেক্ষায় প্লাটফর্মেই দাঁড়িয়ে থাকলো ট্রেনটি (Indian Railway)। সাথে পুরো ট্রেনের যাত্রীরাও অপেক্ষা করলেন এতক্ষণ ধরে। অদ্ভুত এই ঘটনার সাক্ষী থাও ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর রেল স্টেশন (Uttar Pradesh, Shahjahanpur Railway Station)। গত ২১ জানুয়ারি, শুক্রবার বালামউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক ঘুম সম্পূর্ন হয়নি বলে ট্রেন (Indian Railway) চালাতে রাজিই হলেন না কিছুতেই।
আসলে, বালামউ প্যাসেঞ্জার বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে শাহজাহানপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। যে চালক বালামাউ থেকে ট্রেনটি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর রেলস্টেশনে এসেছিলেন তারই কথা ছিল আবারও শুক্রবার সকালে সেই ট্রেনটি ফের শাহজাহানপুর স্টেশন থেকে বালামৌ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে রাতে দেরিতে আসার কারণে চালকের পর্যাপ্ত ঘুম হয়নি, তাই শুক্রবার সকালে ট্রেনে উঠতে রাজি হননি তিনি। তিনি বলেন, ঘুম পূর্ণ হলে তবেই তিনি ট্রেনে উঠবেন।
জানা গেছে শাহজাহানপুর স্টেশন থেকে ২১ জানুয়ারি সকাল ৭টায় সেই ট্রেনটি পুনরায় বালামৌর দিকে নিয়ে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন চালক সাফ সাফ জানিয়ে দেয় তিনি ঘুম পুরো না হওয়া অব্দি ট্রেন চালাবেন না। সেই কারণে ট্রেনটি সকাল ৭টার জায়গায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। অবশেষে ঘুম থেকে উঠে ট্রেনটি চালাতে আসেন ওই লোকো পাইলট এবং ট্রেনটিকে নিয়ে রোজা জংশনে যান। সেখান থেকে অন্য আরেক চালক ওই ট্রেনটিকে নিয়ে বালামউ এর দিকে রওনা দেন।
শাহজাহানপুরের স্টেশন মাস্টার জেপি সিং জানিয়েছে, লোকো পাইলটদের ট্রেনটিকে বালামউ থেকে রোজা পর্যন্ত নিয়ে যান। রোজায় রাতে বিশ্রাম নিয়ে তারা সকালে ট্রেনটি চালান। এই লোকো পাইলট রাতে দেরিতে পৌঁছেছিল এবং ঘুম না হওয়ায় সকালে ট্রেনে উঠতে চাননি। কিন্তু অল্প সময় বিরতি নিয়েই আবারও ট্রেন চালাতে শুরু করেন তিনি। এই বিষয়ে অবশ্য সমর্থন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেননা পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার একজন ট্রেন চালকের। নাহলে দুর্ঘটনার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে।