হাসপাতালের মর্গে রাখা মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসঙ্গম! এমনই হাড়হিম করে দেওয়া বিকৃত যৌনাচারের কথা সামনে এসেছে সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতাল থেকে। যেখানে হাসপাতাল মর্গে এর দারোয়ান একব্যক্তি সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মর্গে রাখা মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম করার।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে , গত বছর চট্টগ্রামের চকবাজার এবং চান্দগাঁও থানা অঞ্চলে দু’জনের অস্বাভাবিক ভাবে মারা যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছিল। এদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১২ বছর আর দ্বিতীয়জন ছিল বত্রিশ বছরের এক মহিলা। ফেব্রুয়ারি মাসে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছিলেন। আর এপ্রিল মাসে ১২ বছরের সেই শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে দুটি দেহই পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরে ময়নাতদন্ত হলে মেলে এক চমকপ্রদ তথ্য, রিপোর্ট জানায় তাদের সঙ্গে সঙ্গম করা হয়েছে।
বিষয়টি সন্দেহজনক ঠেকলে নিয়ে দুটি মৃতদেহরই ‘হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব (এইচভিএস) স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায় CIDর ফরেনসিক ল্যাবে। দুটি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখা যায় একই পুরুষের শুক্রাণু রয়েছে। এ ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান তারা এবং তারপরেই তদন্তে নামে CID।
পাঁচলাইশ থানার আধিকারিক সাদিকুর রহমান জানান, “ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে দুটি মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন CIDর এসআই কৃঞ্চ কমল ভৌমিক। এই ঘটনায় অভিযোগ আনা হয় পাহারাদার সেলিম সমেত আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এরপরেই সেলিমকে আটক করা হয়।” সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনার তদন্তে নেমে CID এর প্রথম সন্দেহ গিয়ে পরে সেমিমের উপর। এরপরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের চট্টগ্রাম অফিসে ডাকে সিআইডি (CID)। অফিসে তাকে চা খেতে দেওয়া হয়। পরে তার চায়ের কাপটি পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। ওই পরীক্ষাতেই দেখা যায় যে দুটি মৃতদেহের শরীরে যে স্যাম্পল পাওয়া গেছে সেটি সেলিমেরই। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। আপাতত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশের CID।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, “সেলিম এই হাসপাতালের সাথে যুক্ত স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও কর্মচারী নয়। তারপরেও সে কীভাবে সে মর্গে পাহারাদারী করত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সূত্র অনুযায়ী সেলিম কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সাতেশ্বর গ্রামে বাস করেন। তাঁর বয়স ৪৮ বছরের কাছাকাছি। বর্তমানে তিনি চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট অঞ্চলে বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও মহিলাদের ওপরে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে কয়েক বছর ধরেই সেলিম ওই হাসপাতালের মর্গে পাহারাদার হিসাবে কাজ করছেন।