আজকাল সমাজ মাধ্যমের যুগে কোনও কিছু ভাইরাল হতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। পৃথিবীতে এমন অনেক কিছুই আছে যা সমাজ মাধ্যমের দরুন একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন একজন মানুষ আছেন যার হাতের লেখা এতটাই সুন্দর যেন মনে হবে সেটা বইয়ের লেখা। সম্প্রতি সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার মানুষটিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
অষ্টম শ্রেণীতে বাচ্চা মেয়েটি পড়াশোনা করে। কিন্তু গোটা বিশ্ব জুড়ে তার পরিচিতি। ছোট্ট মেয়েটিকে গোটা বিশ্বের মানুষ চেনেন। কিন্তু সে কী এমন করেছে তার এত জনপ্রিয়তা যার জন্য! আসলে তার এত সুন্দর হাতের লেখা নিখুঁতের একেবারে কাছাকাছি এত অল্প বয়সে। বিশেষজ্ঞদের যারা ফন্ট সম্বন্ধে অবগত এই মতটি তাদের। আমরা ছোটবেলায় হাতের লেখা নিয়ে সকলেই কমবেশি সমস্যায় পড়েছি। কখনো শুনতে হয়েছে টিচাররা নম্বর দেবে না হাতের লেখা ঠিক না করলে , কত উপদেশ, পরামর্শ। ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। কার না ভালো লাগে সুন্দর হস্তাক্ষর পড়তে! কিন্তু হাতের লেখা’ বলে না দিলে ছাপা হরফ বলে ভুল হতে বাধ্য এই মেয়েটির হাতের লেখা দেখলে।
প্রকৃতি মাল্লা মেয়েটির নাম। ক্লাস এইটে পড়ে নেপালের এই ছোট্ট মেয়েটি। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার অসাধারণ একটি হাতের লেখা। সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে চিনেছে সেখান থেকেই। কিছুদিন আগে প্রকৃতির হাতের লেখার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নেপালের এক ব্যক্তি। মনে হবে যেন কোনো কম্পিউটারের ফন্ট প্রকৃতির হাতের লেখা দেখলে। তার হাতের লেখা এতটাই সুন্দর। সব সমান তার লেখার মাঝখানের ফাকা জায়গাগুলো। এছাড়াও নতুন একটি উচ্চতা সৃষ্টি করেছে সে লিপিবিদ্যার । বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিখুঁতের প্রায় কাছাকাছি তার লেখা। একারণে নেপালের সবচেয়ে সেরা তার হাতের লেখা।
সৈনিক আওয়াসিয়া মহাবিদ্যার ছাত্রী প্রকৃতি মাল্লা। নেপালি সশস্ত্র বাহিনী থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয় অসাধারণ হস্তাক্ষরের জন্য। এখন সে জনপ্রিয় সারা বিশ্বে এবং মানুষ তার লেখা পড়তে বেশ আগ্রহী। প্রকৃতি মাল্লার লেখা সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে নিজেদের হাতের লেখা আরও বেশি সুন্দর করতে।