প্রথম আলাপ থেকেই মনে ধরে গেছিল। তারপর মাত্র চার সপ্তাহ যেতে না যেতেই পঁচিশ বছর বয়সী তরুণী প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকেন একাত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধের। সেই প্রেম, আবেগ এখন পরিণতির রূপ নিচ্ছে। তারা খুব শিগগিরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে। কিন্তু কি এমন কারণ যে এই তরুণী ৭১ বছরের এই বৃদ্ধকেই নিজের হৃদয় দিয়ে বসলো?
এই ব্যাক্তি রেইকি বিশেষজ্ঞ। ড্যানিয়েল রেইফ একটি অদ্ভুত ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। এর চিকিৎসার জন্য, তিনি রেইকি মাস্টার হাওয়ার্ড রিফের একটি সেশন বুক করেছিলেন। হাওয়ার্ড শীঘ্রই ড্যানিয়েলের অসুস্থতা নিরাময় করেন। বয়সে ৪৬ বছরের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এই বৃদ্ধের কলাকুশলীতে মুগ্ধ হয়ে তরুণী প্রেমে পড়েন এবং দুজনেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
যাইহোক, তাদের বন্ধু এবং পরিবার তাদের বয়সের পার্থক্যের জন্য তাদের পরিত্যাগ করে। একই সময়ে, অপরিচিত লোকেরা মনে করে যে হাওয়ার্ড ড্যানিয়েলের দাদু হবেন হয়ত। কিন্তু দুজনেই এসব নেতিবাচক মন্তব্যে পাত্তা দেন না। এই দম্পতি জানিয়েছেন যে তারা এখন সবচেয়ে সুখী।
ড্যানিয়েল একজন ডেলিভারি ড্রাইভার। তিনি বলেছিলেন- হার্ভার্ড এবং আমি আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক আলোচনা এবং ঘৃণার মুখোমুখি হয়েছি। এখন যেহেতু আমরা বিয়ে করেছি এবং দুই বছর ধরে প্রেম করেছি, লোকেরা কী ভাবছে তা আমরা চিন্তা করি না।
ড্যানিয়েল এক রহস্যময় রোগের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বললেন- আমার অনেক বছর ধরে একটা রোগ আছে। আমি ঘুমাতাম তাও সবসময় ক্লান্ত লাগত। আমার খিদে পেত না, এদিকে আমার ওজন বাড়ছিল। আমার হাড় এবং পেশীতে ভীষণ ব্যথা ছিল। ডাক্তাররা আমার অসুস্থতা সম্পর্কে কিছুই করতে পারেন নি।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, ২২ বছর বয়সী ড্যানিয়েল, হার্ভার্ডের সাথে একটি সেশন বুক করেছিলেন। ড্যানিয়েল চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই সময়ে, ড্যানিয়েল হার্ভার্ডের জন্য ভালোবাসা অনুভব করতে শুরু করেন। তিনি বলেন- একদিন হার্ভার্ড কে জিজ্ঞেস করলাম তার বয়স কত, উত্তর এলো- ৬৮ বছর। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তিনি ৪৬ বছরের বড়। কিন্তু তাতে আমার কিছু যায় আসে না। হার্ভার্ডও ড্যানিয়েলের জন্য প্রেম অনুভব করেছিল। তিনি বলেন- আমি জানতাম বয়সের ব্যবধান বিশাল কিন্তু ভালোবাসার কাছে এটা কোনো সমস্যা নয়। পরে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে না জানিয়ে দুজনেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। হার্ভার্ড বলেছিল- যখন আমরা বিয়ে করতে চলেছি, তখন মানুষ কী ভাববে আমি আর চিন্তা করি না।