নারী হল প্রকৃতি, নারীই হল সৃষ্টি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে বলা আছে নারীকে দেবীর আসনে বসানোর কথা। প্রচলিত কথায় আছে, সংসার সুখী হয় রমনীর গুনে। কিন্তু সংসার কতটা সমৃদ্ধ হবে, সেটাও কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে নারীর ওপর। নারী মা, নারী সৃজনশীল। কিছু নারী যেন তাদের সাথে বয়ে চলেন বিশেষ সৌভাগ্য। তাদের চারপাশের মানুষজনকে ভরিয়ে তোলেন সুখে, শান্তিতে। এরকম এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, বিয়ের পর স্ত্রীর জাদুতে সৌভাগ্যশালী হয়েছে বহু স্বামী এবং তার পরিবার।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কিছু নারী বিশেষ সুলোক্ষনা। তাদের ভাগ্যের জোরে শুধুমাত্র তাদের স্বামী নয়, পুরো পরিবারের ভাগ্যেই আসতে পারেন বিশেষ বদল। কিন্তু জানেন কি কোন সব লক্ষ্মণ নারীর মধ্যে থাকলে তাকে সৌভাগ্যবতী বলে মনে করা হয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক, কি কি লক্ষণ থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন একজন নারী সৌভাগ্যশালী ও বিশেষ সুলোক্ষণ যুক্ত।
চোখ এবং মুখ
যেসব নারীর চোখ বড়ো হয় এবং মুখের আকৃতি গোলাকার হয় সেই সব নারীরা সৌভাগ্যবতী হন। শাস্ত্রে নারীদের চোখের নানা রকম আকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে যেসব নারীর গোল মুখ, চিবুক সামান্য উঁচু এবং বড় টানা টানা চোখ থাকে তখন বুঝতে হবে সেই নারী অত্যন্ত সুলক্ষণা।
তিল
শাস্ত্রে বিশদে বর্ণনা করা হয়েছে তিল তত্ত্ব নিয়ে। এদের মধ্যে যে নারীর গলার বাঁ দিকে কালো তিল থাকে অত্যন্ত ভাগ্যবতী বলে তিনি বিবেচিত হন। আর্থিক দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে এঁরা বিবেচিত হন।
লম্বা গলা
যে বাড়িতে এই ধরনের মেয়েরা যায় খুশির ভাণ্ডার নিয়ে যায়। অনেক সৌভাগ্যশালী বলা হয় এদের। খুবই নিখুঁত প্রকৃতির হয়ে থাকে এরা সব কাজে। এরা আশা ছারে না কোন কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত।
হাত ও পায়ের তালু
দুধে আলতা গুলে বিয়ের পর নববধূর সামনে রাখা হয়। তিনি শ্বশুর গৃহে প্রবেশ করেন একটি কাপড়ের উপর হেঁটে। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই রীতির প্রচলন আছে । অনেক কারণ অবশ্য রয়েছে এর পেছনে। শাস্ত্রে বলা রয়েছে, পায়ের মাঝখান মাটিতে স্পর্শ করে না (অর্থাৎ যাঁরা ফ্ল্যাট ফুটেড হন না) যে নারীর এবং যিনি দীর্ঘ ক্ষণ জল ধরে রাখতে পারেন হাতের তালুতে, খুব সৌভাগ্যবতী হন তিনি।