প্রাণ হতে করে আর চড়তে হবে না নারকেল গাছে। গাছ থেকে নারকেল ডাব পেরে দেবে নয়া প্রযুক্তির ড্রোন কোকোবট! নতুন প্রযুক্তির এই রোবটের সাহায্যে গাছ থেকে ডাব নারকেল পেরে আনায় আর ঝুঁকি রইলো না।
এত দিন নারকেল গাছে চড়তে ভরসা ছিল সেই প্রাচীন পদ্ধতি। খাড়া নারকেল গাছ বেয়ে উঠতে হত তার উপরে। এর পর এক হাতে নারকেল পাতা আঁকড়ে ধরে, অন্য হাতে ডাব নারকেল ছেঁড়া! যারা নারকেল গাছে উঠতেন কোমরের দড়ি নারকেল গাছের কাণ্ডের সঙ্গে বাঁধা থাকত বটে, কিন্তু তা সব সময়ে ঝুঁকিপূর্ন ছিল। দুর্ঘটনা ঘটতো যথেষ্ট।
ICAR-সেন্ট্রাল কোস্টাল এগ্রিকালচালার রিসার্চ ইউনিভার্সিটি (ICAR-Central Coastal Agricultural Research Institute) আর গোয়া ইউনিভার্সিটির (Goa University) গবেষকরা নিয়ে এসেছেন এক নতুন প্রযুক্তি। আবিষ্কার করেছেন ড্রোনভিত্তিক এক রোবট তৈরি , যার নাম রাখা হয়েছে ফ্লাই কোকোবট (Fly Cocobot)!
কী ভাবে কাজ করবে এই ফ্লাই কোকোবট?
গোয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক রাজেন্দ্র গড় (Rajendra Gad) জানিয়েছেন যে এই ফ্লাই কোকোবট টি একটি রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে নারকেল-চাষিরা। রিমোটের সাহায্যে এই কোকোবট টিকে নারকেলের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে। এবার গাছের কাণ্ডের সংস্পর্শে এই কোকোবট এলে ফ্লাই কোকোবট যন্ত্রটি থেকে দুটি হ্যান্ড বেরিয়ে এসে নারকেল গাছের গোলাকার কাণ্ড আঁকড়ে ধরবে। এর আরও দুটি হ্যান্ড নারকেল বা ডাব কেটে মাটিতে ফেলবে । গোয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক জানিয়েছেন যে ঘণ্টায় গড়ে ১২-১৫টি নারকেল পাড়তে সক্ষম এই ফ্লাই কোকোবট।
তাদের বানানো এই ফ্লাই কোকোবট চাষের জমি চাষ উপযুক্ত বানানোর কাজও করবে। জমিতে সার ছড়ানোর এবং ফল পাড়ার কাজও দক্ষ ভাবে করবে। সূত্র অনুযায়ী ICAR-CCRI এবং গোয়া ইউনিভার্সিটি খুব তাড়াতাড়ি এই ফ্লাই কোকোবট – এর পেটেন্ট নিতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ICAR আয়োজিত কৃতগ্য এগটেক এই যন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উৎসাহিত চাষীবিজ্ঞানি ও আবিষ্কর্তারা!